ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
উত্তর কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। অভিনব ভাবনা ও শিল্প সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয় তারা। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, প্যান্ডেলের কাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাইরে যে প্লাই লাগানো হচ্ছিল, তা রং করার কাজ পুরোপুরি বন্ধ। যেটুকু কাজ, তা হচ্ছে মণ্ডপের অন্দরসজ্জা। বাইরে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। এখানকার মণ্ডপ রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের রঙ্গলাল মণ্ডল। তিনি বলেন, বৃষ্টির জন্য কারিগরদের বাধ্য হয়ে বসিয়ে রাখতে হয়েছে। বাইরের কোনও কাজই তো করা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সময়ে কাজ শেষ করতে অনেক সমস্যা হবে। এর মধ্যেই যেভাবে হোক করতে হবে। কুমোরটুলি পার্কে গিয়ে দেখা গেল, মাঠের নানা জায়গায় জল জমে রয়েছে। থকথকে কাদাও হয়ে রয়েছে। সেখানেও যা কাজ হচ্ছে, তা মণ্ডপের অন্দরসজ্জা। বাইরের কাজ বন্ধ। দক্ষিণ কলকাতার নামকার পুজো ৯৫ পল্লি দুর্গোৎসব। এর অন্যতম কর্তা তথা মেয়র পারিষদ রতন দে বলেন, আমরা তো বৃষ্টির কথা ভেবে কিছু প্রস্তুতি নিয়েই কাজে নামি। তবে যেভাবে ছাড়া ছাড়া বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তো কাজে সমস্যা হচ্ছেই।
এদিকে, কুমোরটুলির শিল্পীরাও আতান্তরে পড়েছেন। গণেশপুজো হয়ে যাওয়ার পর এখন মহারাষ্ট্রে গণেশ মূর্তি তৈরি করতে যাওয়া শিল্পী-কারিগররা ফিরে এসে এখানে কাজে হাত লাগিয়েছেন। কিন্তু বাইরের ত্রিপলের ছাউনিই তো সরানো যাচ্ছে না। বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্তভাবে বললেন মৃৎশিল্পী সমীর পাল। আরেক শিল্পী বলেন, সারাদিনে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে খুবই অল্প সময়। ব্লু-ল্যাম্প বা স্টোভ জ্বালিয়ে কাজ চালালেও তাতে ভালো শুকোয় না মাটির প্রতিমা। এখন সব শিল্পীই রঙের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। স্প্রে করে রং দেওয়া হচ্ছে প্রতিমায়। কিন্তু যে মাটির প্রতিমা এখনও শুকোয়নি ঠিকমতো, তাতে রং দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে শিল্পীদের।