বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
কোহলি মুখে যাই বলুন না কেন, হার্দিক-রাহুল বিতর্কের আঁচ থেকে রক্ষা পাওয়া কার্যত অসম্ভব। ভুললে চলবে না বিশ্বকাপ মাত্র পাঁচ মাস বাকি। দল গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সামনে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচ। তার মধ্যে দুই নিয়মিত সদস্যের অনুপস্থিতি ভারতের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় যে বিঘ্ন ঘটাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভারতের সামনে চলে এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ। আর সেটা দলের মানসিক পরিস্থিতির দিক থেকেই। দলের প্রথম একাদশের শক্তি খুব একটা খর্ব হওয়ার কথা নয়। রহিত শর্মার সঙ্গে যেহেতু শিখর ধাওয়ান ওপেন করতে নামবেন, তাই রাহুলের জায়গা পাওয়া নিয়ে ঘোরতর সংশয় ছিল। কিন্তু নিশ্চিত ছিল অল-রাউন্ডার হার্দিকের মাঠে নামা। এখন তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পাবেন রবীন্দ্র জাদেজা। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মন্থর বাইশ গজে স্পিনার অল-রাউন্ডার জাদেজার খেলাটা ভারতের কাছে শাপে বর হয়ে উঠতেও পারে। কারণ গত সপ্তাহে এই মাঠেই সিরিজের শেষ টেস্টে জাদেজা ও কুলদীপ যাদবের দুরন্ত স্পিনে কুপোকাত হয়ে ফলো-অনের লজ্জা হজম করেছে অজি বাহিনী। এই দুই স্পিনারের সঙ্গে তিন পেসার হিসেবে দেখা যেতে পারে ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ সামি ও খলিল আহমেদকে। আর ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে নামবেন স্বয়ং কোহলি। চার, পাঁচ, ছয়ে নামতে পারেন যথাক্রমে অম্বাতি রায়াডু, কেদার যাদব ও এমএস ধোনি।
মাঠের বাইরের ঘটনার জেরে দলের মধ্যে উদ্ভুত অস্থিরতা সামাল দিতে ধোনির উপস্থিতিই বড় ভরসা ক্যাপ্টেন কোহলির। শুধু অভিজ্ঞতাই নয়, প্রাক্তন অধিনায়কের ঠাণ্ডা মাথাও এই সিরিজে তাঁকে পথ দেখাবে। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজেই শেষবার দেশের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল ধোনিকে। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ধোনিকে বাদ দেন নির্বাচকরা। সেই থেকে ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলার জন্য প্রাক্তনদের সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি। তবে প্রতীক্ষা শেষে ফের মাঠে নামতে চলেছেন মাহি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে দলে তিনি তো রয়েছেনই। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও তাঁকে রেখেই দল করেছেন নির্বাচকরা।
ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে টিম ইন্ডিয়ার অতীত রেকর্ড রীতিমতো বিবর্ণ। সাফল্য বলতে ১৯৮৫ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০০৮ সালে ত্রিদেশীয় কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজ জয়। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিরুদ্ধে মোট ৪৮টি ওয়ান ডে’র মধ্যে ৩৫টি ম্যাচেই হেরেছে ভারতীয় দল। জিতেছে ১১টি ম্যাচে। আর অমীমাংসিত থেকেছে ২টি ম্যাচ। তবে এই সিরিজে রেকর্ড বদলাতে পারে। একদিনের ক্রিকেটে অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স পাতে দেওয়ার মতো নয়। গত বছর ১৩টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জিতেছে অজিরা। হার ১১টি ম্যাচে। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে আরও একটা নতুন ইতিহাস রচনার লক্ষ্যে চোখ রেখে সিরিজে যাত্রা শুরু করছে কোহলি ব্রিগেড।
খেলা শুরু সকাল ৭-৫০ মিনিটে