ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
শনিবার দিলীপবাবুর বাংলো সংলগ্ন এলাকা সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফেস্টুন ও পোস্টার দেওয়া হয়। দিলীপবাবু সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে এই পোস্টার দেওয়া হয়। সেখানে দিলীপবাবু সহ নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য নেতাদের ছবি থাকলেও বিধায়কের ছবি নেই। এনিয়ে বিধায়ক সহ তাঁর অনুগামীরা বেজায় ক্ষুব্ধ। মনে করা হচ্ছে, সেদিনের ঘটনার জেরেই দিলীপবাবুর অনুগামীরা বিধায়ককে বাদ দিয়ে এই পোস্টার দেন। এনিয়ে শহরজুড়ে চর্চাও শুরু হয়েছে।
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি এর মধ্যে কোনও বিরোধ দেখছেন না। তিনি বলেন, আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠী বিরোধ নেই। বিধায়ক, সাংসদ কেউ আলাদা নন। দলের কেউ যদি নিজেদের টাকায় দিলীপবাবু সহ সভাপতি হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টার, ফেস্টুন দেন তাতে অন্যায় কিছু নেই। তিনি নিজে যেহেতু টাকা খরচ করে পোস্টার, ফেস্টুন দিচ্ছেন তাই দলও এনিয়ে কিছু বলতে পারে না। শনিবার নয়, কয়েকদিন আগেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের বা দলের কারও ক্ষুব্ধ হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। দলের কোনও কর্মসূচি থাকলে সেখানে অবশ্যই বিধায়ক, সাংসদের ছবি দেওয়া হয়। বিধায়কেরও তো উচিত ছিল পোস্টার বা ফেস্টুন দিয়ে দিলীপবাবুকে অভিনন্দন জানানো।
বিধায়ক বলেন, এরকম কিছু পোস্টার, ফেস্টুন দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। সেখানে আমি থাকলাম কী, থাকলাম না, তা নিয়ে ভাবছি না। তবে আমার ছবি থাকা উচিত ছিল। যাঁদের ছবি পোস্টারে আছে তাঁরা পুরসভা গঠন করবেন না বলেও অনুগামীদের কাছে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক। তিনি আরও বলেন, মানুষ পুরসভা গঠন করবেন। আমি একটা জিনিস মেনে চলি, ‘তুমি অধম হলে আমি উত্তম হইব না কেন’? আমার একটাই লক্ষ্য খড়্গপুরের উন্নয়ন। এনিয়ে কোনও বিধায়ক, সাংসদ ভাবেননি। এই শহরে রেল ও আইআইটির প্রায় ৫০০ একর জমি পড়ে আছে। সেই জমিকে কাজে লাগিয়ে অনেক উন্নয়ন করা যায়। আমি তা নিয়ে ভাবছি। কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছি। আমি একটা কথাই বলব ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’। তাঁর দাবি, এই শহরের শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ তাঁর সঙ্গেই আছেন।