ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে অক্টোবর মাসে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে দু’টি পুরুষ চিতা নিয়ে আসা হয়েছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দু’টি চিতাকে একসঙ্গে রাখার ঝুঁকি নেয়নি। তাই একটি চিতাকে পরে উত্তরবঙ্গে ফেরত পাঠানো হয়। সোয়েল নামে চিতাটিকে এনক্লোজারের মধ্যে ছাড়া হয়। সেই থেকে একাই ছিল সোয়েল। সোয়েলের একাকীত্ব কাটাতে একটি স্ত্রী চিতা আনতে উদ্যোগী হয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা আনতে প্রায় দু’বছর সময় লেগে গেল। জানা গিয়েছে, চিতার এনকক্লোজার তৈরির খরচ হয়েছে ৩০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এই এনক্লোজারে দু’টি চিতা রাখা যেতে পারে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সোয়েলকে একটি খাঁচার মধ্যে আটকে রাখা হয়। তারপর স্ত্রী চিতাটিকে এনক্লোজারে ছাড়া হয়। স্ত্রী চিতাটি আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠায় তাকে খাঁচার মধ্যে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার ফের সোয়েলকে এনক্লোজারে ছাড়া হয়। দু’টি চিতাকে পাশাপাশি খাঁচায় রাখা হবে। দু’জনের মিল হওয়ার পর একসঙ্গে তাদের ছাড়া হবে।
প্রাণী চিকিৎসক চঞ্চল দত্ত বলেন, স্ত্রী চিতাটি একেবারে সুস্থ রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ধরা পড়ায় এখনও তার মধ্যে বন্যভাব রয়েছে। তাই ১৫-২০দিন দু’জনকে আলাদা আলদা এনক্লোজারে রাখা হবে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হেলোইচ্চি বলেন, দু’টি চিতাকে আলাদা রাখা হয়েছে। কিছুদিন পর একসঙ্গে তাদের ছাড়া হবে।