ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
আক্রান্ত অটো চালক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মনোজ পাশোয়ান, রাহুল পাশোয়ান ও সুনীল পাশোয়ানদের একটি দুষ্কৃতী দল সক্রিয় রয়েছে। হাসপাতাল চত্বর, বিধাননগর মোড়ে নানা দুষ্কৃতীমূলক কাজে তারা জড়িত। কিছুদিন আগে অন্য একটি অটো থেকেও তারা ব্যাটারি চুরি করেছিল। ওই রাতে অটো রেখে একটি বেসরকারি হাসপাতাল গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে আসতেই দেখি আমার অটো থেকে ব্যাটারি বের করছে রাহুল। আমি ধাওয়া করলে হাসপাতালের মর্গের সামনে মনোজ ও সুনীল আসে। এরপরই চপার দিয়ে ঘাড়ে কোপ মারে মনোজ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনা ব্যতিক্রমী নয়। হাসপাতাল চত্বরের একাংশ রাত নামলেই দুষ্কৃতীদের ডেরায় পরিণত হচ্ছে। বহু বহিরাগত হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নানা নেশার দ্রব্য সেবন চলছে। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিরক্ত ও আতঙ্কিত হলেও কোনও রকম হেলদোল নেই পুলিসের।
যদিও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা মানতে চায়নি পুলিস। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিসের দাবি, এই দুটি দুষ্কৃতী দলের লড়াই। চপার দিয়ে কোপ মারা হয়নি। ভাঙা কাঁচ দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে সরকারি হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটল, তার কোনও সদুত্তর নেই পুলিসের কাছে।
বিষয়টি হালকাভাবে দেখতে চাইছে না দুর্গাপুরের সিএনজি অটো অপারেটার ইউনিয়নের সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, এদিন অটো চালক আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য কোনও দিন হয়তো রোগীর আত্মীয়ও আক্রান্ত হতে পারেন। হাসাপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি চেয়ারম্যান উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, হাসপাতাল চত্বরে কোনও বেনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। মনোজ পাশোয়ান হাসপাতালের সাফাই কর্মী ছিল। তাকে বদলি করা হয়েছিল। প্রয়োজনে আরও কঠিন শাস্তির সুপারিশ করা হবে।