ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
অন্যদিকে, বুথ সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের পর জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে। তা নিয়েও এখন থেকে জল্পনা শুরু হয়েছে। দুর্গাপুরে দলের চিন্তন বৈঠক বা বৈঠক শেষে জনসভায় যেভাবে দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে বর্তমান সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের পদে থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁর বিরোধী শিবির। তবে জেলা সভাপতির অনুগামীদের দাবি, লোকসভা ভোটের সাফল্যের নিরিখে ফের তিনিই জেলা সভাপতির চেয়ারে বসবেন। এই সাংগঠনিক নির্বাচনেই অনেকটা ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদেরও। আদৌ তাঁরা গুরত্বপূর্ণ পদ পবেন, নাকি না ঘরকা না ঘাটকা হয়ে থেকে যাবেন সেদিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
সারা দেশেই সংগঠন নির্ভর দল হিসেবেই খ্যাতি রয়েছে বিজেপির। কিন্তু ব্যতিক্রম, বাংলায় ২০১৯ লোকসভা ভোটে যে বিপুল জয় এসেছে বিজেপির তা অনেকটাই আবেগের ভোট। দলের নেতারাই স্বীকার করে নিচ্ছেন যেসব জায়গায় তাঁদের বুথ কমিটিও ছিল না, সেই সব জায়গায় বিজেপি লিড পেয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শুধু আবেগ নয়, সংগঠনকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে মরিয়া কেন্দ্রের শাসক দল। তাই কয়েকমাস ধরে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করার পর এবার তারা সংগঠনিক নির্বাচনে নামছে। বিজেপি সূত্রে দাবি, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বুথ সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হবে। একটি জায়গায় বুথের সদস্যদের ডেকে বৈঠক করে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচন হবে। থাকবেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দলীয় নেতারা। কিন্তু সর্বসম্মতিতে পৌঁছনো না গেলে কী ভোটাভোটি হবে? সেই সম্ভাবনা তৈরি হবে না বলেই নেতৃত্বের দাবি। আর এর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, কতটা এলাকার মানুষের দাবি মেনে সভাপতি নির্বাচন হবে। কারণ একদিকে বিজেপি দাবি করছে, জেলার তিনলক্ষ সদস্যর ভোটেই সংগঠনের নেতা নির্বাচিত হবে। আবার বলা হচ্ছে, ভোটাভুটির পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তাই বুধবার থেকে বিগত কুড়ি দিন স্থানীয় গেরুয়া নেতাদের রক্তচাপ যে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে শুধু বুথ সভাপতি নির্বাচন নয়, এরপরেই এই নবনির্বাচিত বুথ সভাপতিদের দিয়ে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন হবে অক্টোবর মাসে। নভেম্বর মাসের প্রথমেই আবার জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে মণ্ডল সভাপতিদের ভোটে। এনিয়েও বিজেপি শিবিরে জল্পনার শেষ নেই। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটিই একটি সূত্রে বাঁধা। তাই বহু জেলার নেতাও বুথ সভাপতি নির্বাচন থেকেই নিজেদের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। লোকসভা ভোটের আগে পরে বহু তৃণমূল নেতা-কর্মীও বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। তাঁরা কোনও গুরুত্ব পান কিনা সেদিকেও নজর থাকবে অনেকের। বিজেপির দিকে পা বাড়ানো বহু তৃণমূল নেতাও লক্ষ্য রাখছেন এই নির্বাচনের উপর। কারণ এই দলীয় নির্বাচনই দলত্যাগী তৃণমূলীদের ভবিষ্যৎ অনেকটাই পরিষ্কার করে দেবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান তথা কো অডিনেটর ভি শিবদাসন দাসু বলেন, অন্যদলের নির্বাচন নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনা। তবে একথা বলতে চাই, যতই সংগঠন গড়ুক বা নির্বাচন করুক ২০২১ সালে ওরা আর জায়গা পাবে না। আমরা নিজেদের ভুল শুধরে নিচ্ছি ফের মানুষ আমাদেরতত পাশেই দাঁড়াবে।
বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, আমাদের দলটা তৃণমূল নয় যে সব কথায় দ্বন্দ্ব থাকবে। দলের নিয়ম মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেক্ষেত্রে যারা যোগ্য তারা দায়িত্ব পাবে।