ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এবিষয়ে চাণক অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি রমজান শেখ বলেন, আমাদের দলের ওই দুই স্থানীয় নেতা কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নেয়নি। বিজেপি চক্রান্ত করে এসব করছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরতেই এসব করছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের চাণক অঞ্চলের জালপাড়া গ্রামের কিছু বাসিন্দা তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভগীরথ হালদার ও উৎপল পালের নামে সোমবার মঙ্গলকোট থানায় লিখিতভাবে কাটমানির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য অভিযোগ করেন। তাঁরা পুলিসকে জানান, গ্রামের ওই দুই নেতা তাঁদের কাছ থেকে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি নেন। একপ্রকার জোর করেই কাটমানি আদায় করেন। এরপর গ্রামের বাসিন্দারা মিলিতভাবে ওই দু’জনের কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান। তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান। চাপে পড়ে ওই দুই নেতা ভাদ্র মাসের ১০ তারিখের মধ্যে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও টাকা ফেরানোর কোনও চেষ্টা করেননি ওই নেতারা। এমনটাই অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রতিশ্রুতি মতো টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও এখন তা চাইতে গেলে ওই দুই নেতা গ্রামের বাসিন্দাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। জালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দুর্যোধন দাস, ষষ্ঠী দাস, মধুসূদন দাস, দুঃখহরণ খাঁ বলেন, আমাদের কাছ থেকে ওঁরা ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই আমরা ওই দুই নেতার কাছে যাই। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়। আগে ফেরত দেওয়ার কথা বললেও এখন ফেরত চাইতে গেলে আমাদের তা দিচ্ছেন না। উল্টে আমাদের হুমকিও দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে তাঁদের নামে থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করা হবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত উৎপল পাল বলেন, আমি টাকা নিয়েছিলাম। কিন্তু তা গ্রামের উন্নতির জন্য দান করে দিতাম। আমি কাউকে হুমকি দিইনি। এসব আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আরএক তৃণমূল নেতা তথা লাখুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ভগীরথ হালদার বলেন, আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। কাউকে হুমকিও দিইনি। কিছু লোক রাজনৈতিকভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব চক্রান্ত করছে। যদিও মঙ্গলকোটের বিজেপি নেতা বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।