ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
ডালখোলার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তনয় দে বলেন, ৭ ডিসেম্বর জল প্রকল্পের কাজের সূচনা করা হবে। আমরা এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে আরবান ডেভেলপমেন্ট মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স (ইউডিএমএ) থেকে এই শহরের পানীয় জলের প্রকল্পের জন্য ৫০ কোটি টাকার স্কিম ধরা হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা শহরকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি জোনের পাইপলাইনের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ওয়ার্ক অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। সেই কাজের সূচনা হবে।
অন্যদিকে, চাষিদের উৎপাদিত বিভিন্ন সব্জি, দুধ সহ নানা কৃষি সামগ্রী বিক্রির জন্য সুফল বাংলা প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের স্টলে আলু পিঁয়াজ থেকে শুরু করে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঝিঙে, পটল, আলু, লঙ্কা, টম্যাটো সহ সমস্ত রকমের সব্জি পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চাল, ডেয়ারি সামগ্রী, নদীয়ালি মাছ, ঘি সহ অনেক কিছুই সুলভ মূল্যে বিক্রি হয়। কিন্তু ইসলামপুরে এখনও এই প্রকল্পের স্টল চালু হয়নি। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন থেকেই এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শহরের ১১নং ওয়ার্ডের নিউটাউন এলাকায় প্রকল্পের স্টলের জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে। এবার উদ্বোধনের অপেক্ষ। ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মানিক দত্ত বলেন, ৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই ওই স্টলের উদ্বোধন করা হবে।
ডালখোলার বাসিন্দারা বলছেন, শহরে পানীয় জলের পরিষেবা বলতে একটি মাত্র স্কিম আছে। বহু পরিবার পুরসভার জল পরিষেবার সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত। রেললাইন শহরকে দুই ভাগ করেছে। পশ্চিম পাশের ৯, ১০, ১২, ১৩, ১৪ এবং ১৬নং ওয়ার্ডে জলের পরিষেবা নেই। রিজার্ভার থাকলেও তা রেললাইনের পূর্ব পাড়ে আছে। এবার নতুন পরিকল্পনায় রেললাইনের দুই পাড়েই রিজার্ভার বসান হচ্ছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে জলের পরিষেবা দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন থেকেই জল পরিষেবার এলাকা বৃদ্ধির দাবি উঠেছিল। কারণ পুরসভার পরিষেবা না থাকায় একাংশের মানুষ অগভীর নলকুপের জল পান করে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে জার ভর্তি জল কিনে খায়। এবার বাসিন্দাদের পানীয় জলের দাবি পূরণ হতে চলেছে। তাই এলাকায় খুশির হাওয়া বইছে।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে রায়গঞ্জের ওই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন্য একঝাঁক প্রকল্পের ঘোষণা, শিলান্যাস, উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। অলচিকি ভাষা পড়ানোর জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, ১৬ টি রাজবংশী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জেলা হাসপাতালে এমআরআই ইউনিট করার ঘোষণা হতে পারে ওই বৈঠক থেকে।