শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কোচবিহার জেলা খাদ্য নিয়ামক সমীর মণ্ডল বলেন, গত বছরের নভেম্বর থেকে আমরা ধান কেনা শুরু করেছি। গত চার মাসের মধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ধান কেনা হয়েছে। আমরা আশা করছি কয়েক মাস পরেই বোরো মরশুমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার পরও বাড়তি ধান কিনতে পারব। ইতিমধ্যে যে ধান কেনা হয়েছে তা চাল কলগুলিতে পাঠানো শুরু করেছি। চাল তৈরির পর রাজ্যে এব্যাপারে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। আমরা আগে লক্ষ্যমত্রা পূরণ করব। তারপর রাজ্যের অনুমোদন নিয়ে বাড়তি ধান কেনা হবে।
এবার চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করার পর রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় প্রথম দিকে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপরই রাজ্য সরকার প্রতিটি জেলাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়। আমন মরশুম শুরু হওয়ার পরই জেলায় জেলায় ধান কেনা শুরু হয়। কোচবিহারে ধান কেনা শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। চলতি বছরের অক্টোবরে সময়সীমা শেষ হবে। জেলাকে এবারে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে জোরকদমে ধান কেনা শুরু করে জেলা খাদ্য দপ্তর। জেলার ১২টি ব্লকের ১২টি কৃষক বাজার ছাড়াও বেশকিছু বাজারে স্বনির্ভর গোষ্টীর মহিলাদের দিয়ে ও সমবায়েরর মাধ্যমে ধান কেনার কাজ করে খাদ্যদপ্তর। একই সঙ্গে সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধান বিক্রি করার জন্য চাষিরা ভিড় করেছেন। সেজন্য চার মাসেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ধান কেনা হয়ে গিয়েছে। এজন্য খুশি খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনেই বোরো মরশুম রয়েছে। জুন মাসে চাষিরা বোরো ধান ঘরে তুলবেন। সেসময়েই লক্ষ্যমাত্রার বাকিটা পূরণ হয়ে যাবে। এবারে জেলায় ব্যাপক হারে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি ধান কেনা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পর বাড়তি ধান কেনা যাবে কিনা তা অবশ্য এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দপ্তর। এব্যাপারে রাজ্যের অনুমোদনের পরই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।