বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
কোচবিহারে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাচ্ছে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যেই কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ঐতিহ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে একটি মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে। এভাবেই কোচবিহারের আবেগের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়। এবার কমিউনিটি রেডিও স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও এক ধাপ এগোতে চাইছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্যরা দিল্লিতে গিয়েছিলেন। শুক্রবারই তাঁরা ফিরে এসেছেন। দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা একটি বিশেষ সংস্থার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেছেন। কেন্দ্রীয় সম্প্রচার মন্ত্রকের একজন প্রাক্তন কর্তার সঙ্গেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে। ওই নির্দিষ্ট সংস্থাই বিশ্ববিদ্যালয়ে রেডিও স্টেশন করার জন্য সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি বড় ঘর দরকার। পাশাপাশি এই ধরনের রেডিওর বার্তাকে সম্প্রচার করার জন্য নির্দিষ্ট অনুমতিও দরকার। সব দিক গুছিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ময়দানে নামতে চাইছে। এই রেডিও’র মাধ্যমে স্থানীয় কৃষ্টি, সংস্কৃতি সম্পর্কেও বিশিষ্টজনেরা তাঁদের মতামত তুলে ধরতে পারবেন। ঐতিহাসিক নানা উপাদান সম্পর্কেও এই রেডিও’র মাধ্যমে আলোকপাত করা যেতে পারে। পাশাপাশি এলাকায় চাষ আবাদ সম্পর্কিত জরুরি কিছু বার্তাও এই রেডিও’র মাধ্যমে সম্প্রচার করা যেতে পারে। তবে প্রথম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যেই এই সম্প্রচারের বিষয়টিকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী ক্ষেত্রে কোচবিহারের জনজীবনের ক্ষেত্রে এই রেডিও স্টেশনকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করা হবে। তবে সবটাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই করা হবে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসি’র কাছে নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব জমা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের নিরিখেই এই প্রস্তাবগুলি জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর ইউজিসি’র টিম বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপরেও কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছে।