যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া গত ৮ বছরে এখনও পর্যন্ত ৩৩০টির বেশি রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে জার্মানের থিঙ্ক ট্যাশ্ক গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউট। ‘নোহোয়্যার টু হাইড: দ্য লজিক অব কেমিক্যাল ওয়েপন্স ইউজ ইন সিরিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তারা দাবি করেন, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩৬টি রাসায়নিক হামলার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকার অবস্থান বিপরীতধর্মী। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় আমেরিকা। এ জন্য তারা আসাদ সরকারের বিদ্রোহ ঘোষণাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তবে আসাদ সরকারের দাবি, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আমেরিকা মূলত বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। আর রাশিয়া বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আসাদ সরকারের সমর্থনে রাশিয়া-ইরান আইএস এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও আমেরিকা ছায়াযুদ্ধে মেতে উঠেছে বলে অনেকেই মনে করেন। সংস্থাটি জানায়, এই হামলায় বেশিরভাগ সময়ই আসাদ সরকারই দায়ী। আইএসও ছয়টি রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের আগস্টের পর ৯০ শতাংশ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে শত শত মানুষ।
সংঘাতের প্রথম তিন বছরে আমেরিকার সিরিয়া-নীতি পরবর্তীতে পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ট্রাম্প ঘোষণা দেন সিরিয়া থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের। ২০১৬ সালে আইএসের কাছ থেকে মানবিজ দখল করে আমেরিকা সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)। এই জোটে রয়েছে মার্কিন সমর্থিত কুর্দিশ ওয়াইপিজি। তুরস্ক ওয়াইপিজিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা সংগঠন মনে করে। পিকেকে কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।