শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। সেই বৈঠকে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার জয়েশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই জঙ্গি সংগঠনের সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিতি মাদ্রাসাতুল ও জামিয়া-ই-মসজিদ দখল নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্যমন্ত্রী সেকথা জানিয়েও দেন।
শনিবার, মাদ্রাসা ও মসজিদটির সঙ্গে জয়েশের যে কোনও সম্পর্ক নেই, তা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগে পাকিস্তান। স্থানীয় পুলিস বেশ কিছু সাংবাদিককে ভাওয়ালপুরের মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পুলিস দাবি করে, এই মাদ্রাসার ৬০০-র মতো পড়ুয়া পড়াশুনো করে। ৭০ জন শিক্ষক রয়েছেন এতে। তাদের কেউই কোনওরকম জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নয়। সাংবাদিকরা পড়ুয়াদের জয়েশ, মাসুদ আজহারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু তারা কেউই এদের ব্যাপারে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। তবে পড়ুয়াদের আগে থেকেই এই বিষয়ে শিখিয়ে-পড়িয়ে রাখা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন এক সাংবাদিক।
অন্যদিকে, পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার এই দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। তারা মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রশাসনিক কাজে তদারকি করবেন। সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০০২ সালে জয়েশ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই মসজিদ ও মাদ্রাসায় গোয়েন্দাদের নজর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ মুম্বই হামলার অন্যত্ম চক্রী হাফিজ সইদ নেতৃত্বাধীন জামাত-উদ-দাওয়া ও ফলাহ-ই-ইনসানিয়াতকে গত বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান।