শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুলওয়ামায় জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের নাশকতায় পাক যোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তারপর থেকেই পাকিস্তানকে সবক শেখাতে প্রত্যাঘাতের আওয়াজ উঠেছে দেশজুড়ে। সেইমতো সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে মোদি সরকার। জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমানহানারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া। কিন্তু, ভারত প্রত্যাঘাত হানলে পাকিস্তানও পাল্টা আক্রমণ করবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই যুদ্ধ-যুদ্ধ আবহে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে লড়াই হলে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নেবে।
এহেন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের কখনও আগে ভারতের উপর পরমাণু হামলা চালানো উচিত নয় বলে ইসলামাবাদকে সাবধান করেছেন অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নেতা মোশারফ। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান একটা পরমাণু বোমা ফেললে, ভারত ২০টা ফেলবে। এবং পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেবে।’ প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে এমনই খবর প্রকাশ করেছে করাচির সংবাদপত্র ‘ডন’।
রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছেন মোশারফ। সেখানেই শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বিশেষ করে পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জয়েশ জঙ্গিদের হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে। সেখানে মোশারফ বলেন, ‘ভারত-পাক সম্পর্ক ফের বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তবে কোনও পরমাণু হামলা হবে না। আমরা (পাকিস্তান) যদি একটা পরমাণু বোমা ভারতে ফেলি, তাহলে ভারত ২০টা বোমা ফেলে আমাদের ধ্বংস করে দেবে।’
একইসঙ্গে, পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষমতা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মোশারফ। তিনি বলেছেন, ‘ভারতকে আক্রমণ করতে হলে অন্তত ৫০টি পরমাণু বোমা প্রথমেই প্রথমেই ফেলতে হবে। যাতে ২০টা পরমাণু বোমা ফেলার আগেই ধ্বংস হয়ে যায় ভারত। এই ৫০টি বোমা নিয়ে আপনারা কি প্রথমে ভারতের উপর হামলা করতে প্রস্তুত?’ পাশাপাশি, যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী দেশ ইজরায়েলের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভালো বলেও দাবি করেছেন মোশারফ।
স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে কি পাকিস্তানে ফিরছেন তিনি? জবাবে মোশারফ বলেছেন, ‘আমার মতে, বর্তমানে পাকিস্তানের রাজনীতি অনুকূলেই রয়েছে। সরকারের (ইমরান) অর্ধেক মন্ত্রীই আমার অনুগামী। আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দু’জনেই আমার আইনজীবী ছিলেন।’ যদিও, কবে দেশে ফিরবেন সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধান। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে গদিচ্যুত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দেশের ক্ষমতা দখল করেন মোশারফ। ন’বছর দেশের প্রেসিডেন্ট থাকার পর আর একটি সেনা অভ্যুত্থানে গদিচ্যুত হয়ে পুনরায় ক্ষমতা দখল করেন পিএমএল-এন প্রধান শরিফ।
এদিকে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত যদি পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাত হানে, তাহলে তারাও বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান। বলেছেন, পাল্টা আঘাত হানা হবে। প্রতিবেশী দুই দেশ পরমাণু শক্তিধর হলেও আধুনিক বিশ্বের রণনীতিতে সমরাস্ত্র প্রতিযোগিতার তূল্যমূল্য বিচারের ভরকেন্দ্র হল ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। ভারতের সামরিক ভাণ্ডারে অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত হওয়ার পর বিশ্বের আইসিবিএম এলিট ক্লাবের সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব বেড়েছে ভারতের। কারণ অগ্নি ৫-এর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষমতা সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি। সেই তুলনায় পাকিস্তানের সবথেকে আধুনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল শাহিন থ্রির রেঞ্জ খুব বেশি হলে ২৩০০ কিলোমিটার।