শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল ‘ময়ূরপঙ্খী’ নামে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ বিমানটির। চট্টগ্রামে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ নির্বিঘ্নেই সেটি অবতরণ করে। সেখান থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পরই বিপত্তি শুরু হয়। এক বিদেশি নাগরিক হ্যান্ডগান নিয়ে ককপিটে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় বিমানে থাকা ওই ব্যক্তি। বিমানকর্মীরা তাকে ককপিটে ঢুকতে বাধা দিলে যাত্রীদের গুলি করার হুমকি দেয়। বিমানকর্মীদের সে জানায়, আত্মঘাতী হামলা চালানোর পোশাক পরে রয়েছে। পাশাপাশি দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটেকি চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনেন পাইলট। জরুরি অবতরণ করান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানটিকে ঘিরে ফেলে পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনী। বিমানটিতে ১৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়। এরপর বিমানের ভিতরে ঢোকে বায়ুসেনা। যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা গেলেও ভিতরে থেকে যান বিমানকর্মীরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমান থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানকর্মীদের নিরাপদে বের করে আনা হয় বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার শাকিল মিরাজ। বিমানটিতে ছিলেন বাংলাদেশের এমপি মইনুদ্দিন খান বাদল। তিনি বলেন, বিমানের মধ্যে ওই ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে। বাদলও জানান, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে কথা বলানোর দাবি জানিয়েছিল ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালানো ওই ব্যক্তি। ওই বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে খবর।