পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ইপিএফে আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগে জেরবার হয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন ইপিএফও। যদিও প্রতারণা হওয়ার পর আইন প্রয়োগে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এহেন প্রতারণা কীভাবে বন্ধ করা সম্ভব, তা নিয়ে সেভাবে কোনও পরিকল্পনা করতেই পারেনি ইপিএফও। বরং ইপিএফ গ্রাহকদের এ ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণে জোর দিচ্ছে তারা।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, রাঁচি, দিল্লি, গুজরাত, ফরিদাবাদ, বান্দ্রা, সালেম, নয়ডার মতো বেশ কিছু আঞ্চলিক ইপিএফওর কার্যালয়ে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত একাধিক কেস নথিভুক্ত হয়েছে। যদিও সেইসব কেসে প্রতারিতরা এখনও পর্যন্ত আদৌ তাঁদের টাকা ফেরত পেয়েছেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতারণার ঘটনা নিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়াচ্ছে দ্রুত হারে। আর মূলত তা সামাল দিতেই এই ইস্যুতে কড়া আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইপিএফে আর্থিক প্রতারণার পরিমাণ ২৫ লক্ষ টাকা অথবা তার বেশি হলেই বাধ্যতামূলকভাবে সেই কেসের তদন্তভার তুলে দিতে হবে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) হাতে। আর তার থেকে এক টাকাও যদি কম প্রতারণা হয়, তাহলে অবিলম্বে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে সংশ্লিষ্ট ইপিএফও আঞ্চলিক কার্যালয় অথবা ফিল্ড অফিসকে। এক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে ওই কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদেরই। তবে শুধুমাত্র সিবিআইকে কেস হ্যান্ডওভার কিংবা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়েরই নয়, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানাচ্ছে, এক্ষেত্রে ‘ফ্রড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র পাশাপাশিই অডিট সেল তৈরিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা প্রতিটি কেস খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারি সূত্রের খবর, মূলত ভুয়ো ফোন কল এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে গ্রাহকদের। হয় ফোন করে ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন), প্যান, আধার নম্বর অথবা ব্যাঙ্ক ডিটেলস চাওয়া হচ্ছে, অথবা ভুয়ো ওয়েবসাইটে কোনও ইউআরএলে ক্লিক করে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বলা হচ্ছে। পাতা ফাঁদে পা দিয়ে তা দিয়ে দিলেই মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট। গ্রাহকদের সচেতন করতে গিয়ে ইপিএফও বলছে, একমাত্র https://www.epfindia.gov.in কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের সরকারি ওয়েবসাইট। বাকি সবই ভুয়ো। ইপিএফওর পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ফোন করে ইউএএন, প্যান, ব্যাঙ্ক ডিটেলস কিংবা আধার নম্বরও চাওয়া হয় না, এমনকী ইপিএফও কোনও গ্রাহককে ব্যাঙ্কে অর্থ জমা করতেও বলে না।