পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
বাণিজ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী আমদানি নভেম্বর মাসে কমেছে সাড়ে ১২ শতাংশ হারে। এই নিয়ে একটানা ৬ মাসে ধরে আমদানির হার কমতেই থাকছে। আমদানির হার ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ার অর্থ ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া। এবং সেই কারণেই দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা কমে যাওয়া। চাহিদা না থাকায় শিল্পমহল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। আবার অন্য দিকে,৩০টি কোর সেক্টরের মধ্যে ১৭টি ক্ষেত্রেই রপ্তানি কমেছে দ্রুত। তবে আশার সামান্য আলো দেখিয়েছে জ্বালানি, গহনা বাদ দিয়ে কিছু কোর সেক্টরের রপ্তানি বৃদ্ধিহার সাড়ে ৪ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু সরকারকে সব থেকে বেশি উদ্বেগে ফেলেছে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার। জুলাই মাসে খাদ্য পণ্যের বৃদ্ধি হার ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ। অথচ গত মাসে সেই হার হয়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। এই আকস্মিক বৃদ্ধির জন্য অসময়ের বৃষ্টিকে দায়ী করা হলেও অন্যতম প্রধান কারণ সংরক্ষিত খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত খাদ্য সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা এখনও সামগ্রিক ভাবে সম্ভব না হওয়ায় পচনশীল খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রচুর। আর অর্থমন্ত্রকের কাছে আরও উদ্বেগের খবর হল, নতুন ফসল আসতে শুরু করে দিলেও, দেখা যাচ্ছে পর্যাপ্ত উৎপাদন এবার কৃষকরা করেনি। কারণ, বিগত মরশুমের ক্ষতি। আর সেক্ষেত্রে খাদ্য পণ্যের দাম আপাতত কমার যে কোনও সম্ভাবনা সেই, সেরকমই আভাস মিলছে। শিল্প উৎপাদনের ক্রমহ্রাসমান প্রবণতার বিশেষ উন্নতি না হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে জিএসটি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও নিশ্চিত আশ্বাস না পাওয়া। গতকালও সংসদের অধিবেশনের সমাপ্তির পর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করার সময় জিএসটি হার পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। যদিও মনে করা হচ্ছে আগামী জিএসটি কাউন্সলের বৈঠকে জিএসটি হারে পুনরায় কোনও পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হতে পারে।