নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৪২টি আসনের মধ্যে তিনি কোথায় দাঁড়াবেন, সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করুন। ওঁকে একাই সেখানে ভো-কাট্টা করব। ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে আয়োজিত শ্যামবাজারের সভা থেকে শুক্রবার এভাবেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ এবার ব্রিগেডের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাই ব্রিগেডকে সফল করতেই হবে। ৮০ বছর আগে দক্ষিণ কলকাতার এক বাঙালি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছিলেন। এবারও সেই দক্ষিণ কলকাতার এক বাঙালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন। ঘটনাচক্রে দু’জনেই কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। ৮০ বছর আগে নেতাজি ইংরেজ শাসনের অবসানে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন। এরপর দিল্লির পালা।
শুক্রবার শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির পাদদেশ থেকে বিজেপি হটাওয়ের ডাককেই জোরালো করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক। এদিনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস রায়, ফিরহাদ হাকিম, সাধন পাণ্ডে, সুব্রত বক্সি প্রায় প্রত্যেকেই একই সুরে বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য কেউই বিশেষ কিছু রেখে যেতে পারেন না। তবে তাঁরা নতুন প্রজন্মের নেতা হিসেবে কাউকে রেখে যেতে পারবেন, এটাই তাঁদের ভালো লাগছে। সাধন পাণ্ডে বলেন, এদিন শ্যামবাজারে যা ভিড় হয়েছে, তা এখানে তৃণমূলের অতীতের যাবতীয় সভার ভিড়কে ছাপিয়ে গিয়েছে।