দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট ১ ব্লকের শাঁকচূড়া বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শাঁকচূড়া বাজার থেকে বাগুন্ডি পিএল হাইস্কুল পর্যন্ত ৪ কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এই রাস্তার উপর দুটি হাইস্কুল, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাই মাদ্রাসা, টাকি গার্লস হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। এছাড়া শাঁকচূড়া বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েত ও নিমদাঁড়িয়া কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই রাস্তার পাশেই ছ’টি ইটভাটা রয়েছে। প্রতিনিয়ত রাস্তা দিয়ে কয়লা ও ইট বোঝাই লরি যাতায়াত করে। একেবারে ভেঙে যাওয়া রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ। রাস্তা সংস্কার ও ছাত্রছাত্রীদের স্কুল আসা ও যাওয়ার সময় লরি চলাচল বন্ধ্যের দাবিতে এলাকাবাসীর মতো স্কুল কর্তৃপক্ষও বহুবার স্থানীয় থানা ও প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
দিন দুয়েক আগে পথ দুর্ঘটনায় শরিফ সর্দার (২২) নামের স্থানীয় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। শনিবার লরি চলাচল বন্ধ থাকলেও রবিবার ফের লরি চলাচল শুরু হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হাই মাদ্রাসার সম্পাদক লরি চলাচল বন্ধ রাখতে বলায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ দক্ষিণ বাগুন্ডি পিএল হাইস্কুল ও কোদালিয়া আমিনিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা শাঁকচূড়া বাজারে রাস্তা অবরোধ শুরু করে। ছাত্রছাত্রীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, অবিলম্বে এই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা প্রাণ ভিক্ষা চাইছি। এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিস ও প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য সাহানুর মণ্ডল ও বসিরহাট থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রছাত্রীরা।
হাই মাদ্রাসার ছাত্রী বিলকিস খাতুন বলেন, গত ছয় বছর ধরে আমরা স্কুলে আসছি। স্কুলের অনেক উন্নতি হয়েছে,কিন্তু রাস্তার উন্নতি হয়নি। রাস্তা দিয়ে বড় বড় লরিতে ইট ও পাথর নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুলে আসার সময় প্রাণ হাতে করে আমাদের স্কুলে আসতে হয়। স্কুল আসা ও যাওয়ার সময় লরি চলাচল বন্ধ করার দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। জেলা পরিষদ সদস্য সাহানুর মণ্ডল বলেন, এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। প্রচুর লরি চলায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। দিন দুয়েক আগে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বাচ্চারা স্কুল আসতে ভয় পাচ্ছে। সেকারণে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ করেছিল। সমস্যার বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছি। ভাটার লরি যেভাবে চলছে তাতে যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।