দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুজোর ছুটিতে কাজ করার ব্যাপারে গাফিলতি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষকর্তা থেকে ফিল্ড ওয়ার্কার, প্রত্যেকেই তোপের মুখে পড়েছিলেন অতীনবাবুর। তিনি বলেছিলেন, আমার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পুজোর ছুটির ১৫ দিন যেভাবে কাজ করার কথা ছিল, তা করেননি। এলাকা ঘুরে ঘুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার কথা থাকলেও, তাঁরা তা করেননি। এঁদের উপরে নজরদারির জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাও তাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। অথচ, ওভারটাইমের টাকা পেয়ে গিয়েছেন। ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণই হচ্ছে এই ব্যর্থতা। তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে। অতীনবাবু বারবারই কাউন্সিলারদের ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের এক শ্রেণীর কর্তা-কর্মীদের কাজে টালবাহানা নিয়ে সরব। তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে এও বলেছেন, যদি কর্তা-আধিকারিকরা ঠিকমতো কাজ না করেন, তাহলে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচি ধাক্কা খাবে। তিনি বিভাগীয় বৈঠকে একাধিকবার স্বাস্থ্যকর্তাদের আরও বেশি করে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছেন। খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সূত্রের খবর, এরপরেও দেখা যাচ্ছিল, বেশ কিছু কর্তা-আধিকারিক কাজের ক্ষেত্রে গাফিলতি করে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি অতীনবাবুর নজরেও আসে। তাই অতীনবাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ঠান্ডা ঘরে বসে নয়, স্বাস্থ্য কর্তা-আধিকারিকদের কাজ করতে হবে ময়দানে নেমে। চালাতে হবে দফায় দফায় নজরদারি। খামতি থাকলেই তা পূরণ করতে হবে। কোনওরকম টালবাহানা চলবে না। প্রত্যেকদিনের সঠিক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
তবে এখানেই শেষ নয়, হাজিরার ক্ষেত্রেও নজরদারি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিলেন অতীনবাবু। জানুয়ারি থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বরো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হবে। এদিন সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতীনবাবু জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হবে। প্রত্যেকের হাজিরা উপরে নজরদারি রাখা হবে।