বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ইউনিয়ন রাখা যাবে না। তার পরিবর্তে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গঠন করতে হবে। এই কাউন্সিলে নির্বাচনের ভূমিকা অনেকটাই কমে যাবে। প্রধান সদস্যরা মনোনীত হবেন। একে গণতন্ত্র খর্ব করার চেষ্টা বলে সমালোচনা করতে থাকেন বিরোধীরা। সরকারের যুক্তি ছিল, এর ফলে ছাত্র নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ, পঠন-পাঠন ব্যাহত হওয়ার ঘটনা অনেকটাই কমবে। ক্যাম্পাস অনেক শান্তিপূর্ণ থাকবে। কিন্তু প্রেসিডেন্সি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছিল। মাঝে তা কিছুটা থিতিয়ে আসে। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমেস্টারের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদেরও ঝাড়া হাত-পা। এই অবস্থায় ইউনিয়নের নেতারা তাঁদের মিছিলে টানতে সফল হয়েছেন। অনেকে প্রথমবার এতবড় মিছিলে যোগ দিতে পেরে বেশ আপ্লুতও হয়েছেন। তবে অনেকেই বলছেন, নির্দেশ যখন সরকার দিয়েছে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করে কী হবে? সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাদবপুর তো এই নির্দেশ মানতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে এই বিক্ষোভ দেখাতে হলে সরাসরি প্রশাসনিক জায়গায় যাওয়া উচিত।