বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
যদিও এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল সুপার সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ওয়ালশ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান প্রবীর ঘোষাল বলেন, রোগী পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। কীভাবে ওই রোগী পালালেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিস তার তদন্ত করার পর কেউ দোষী বলে চিহ্নিত হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলপুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জ্বর নিয়ে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি হন মাহেশের বাসিন্দা জগন্নাথ সাউ। তার পর থেকেই দু’বেলা নির্দিষ্ট সময়ে আত্মীয়রা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা করতে এসে আত্মীয়রা দেখেন, বেডে জগন্নাথবাবু নেই। তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাতে শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের ধার থেকে জগন্নাথবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা জানাজানির পর রাতেই হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ এনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিজনরা। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালেও আমরা হাসপাতালে গিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। ওই সময় বাড়ির সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা বলেছে। বিকেলে দেখা করতে গিয়ে বেডে না পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বাথরুমে গিয়েছে। কিন্তু পাশের বেডের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই উনি নেই। মৃতের বাবা বলেন, এরপর আমরা ঘটনার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। তবে ওঁরা ছেলেকে খোঁজার জন্য সেভাবে কোনও উদ্যোগই নেননি। শুধু থানায় একটা ফোন করেই দায় এড়ায়। পরে পুলিস আমাদের শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে পাওয়া একটি মৃতদেহ দেখতে বলে। মৃতদেহ দেখে আমরা ছেলেকে চিহ্নিত করি। তবে কীভাবে হাসপাতালের কর্মীদের নজর এড়িয়ে জগন্নাথ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল? হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরাই বা তাকে আটকালো না কেন? তাহলে কি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কোনও নিরাপত্তাই নেই? জগন্নাথবাবুর পরিবারের দাবি, হাসপাতাল থেকে কেন উনি বেরিয়ে এল বা কেন স্টেশনে গেল, আমরা তা বুঝতে পারছি না। আমাদের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে কোনও রহস্য রয়েছে। পুলিস সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখুক।