দেশ

মোদি ফিরতেই খাদ্যপণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ, জোগানের অজুহাত কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় ফিরলেন, কিন্তু মূল্যবৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রণ এল না। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের বাজারদরে নাভিশ্বাস উঠল আম জনতার। যে টম্যাটোর দাম হওয়া উচিত ছিল কেজি প্রতি ৫০ টাকা, সেটাই এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। তা সে কলকাতা হোক, কানপুর, দিল্লি কিংবা দেরাদুন। আর এই তথ্য দিচ্ছে মোদিরই খাদ্যমন্ত্রক। শুধুই কি টম্যাটো? কেন্দ্রের মতে, আলুর মডেল প্রাইস বা আদর্শ দাম হওয়া উচিত ৩০ টাকা কিলো। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকায়। খাদ্যমন্ত্রকের রিপোর্টই বলছে, পেঁয়াজের মডেল প্রাইস যেখানে ৪০ টাকা, তার বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকায়। খাদ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, খুচরো বাজারে আটার আদর্শ মূল্য হওয়া উচিত ৩২ টাকা কেজি। অথচ বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকায়। চাল ৪০ টাকার পরিবর্তে কিনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৬২ টাকায়। আর চা? সরকারই বলছে, খোলা চা’র (লুজ টি) আদর্শ মূল্য কেজিতে ২২০ টাকা। সেখানে তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫৯ টাকায়। এই আকাশছোঁয়া লাফের ব্যবধান কী? মাত্র এক মাস। 
ছবিটা স্পষ্ট—নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকারে ফেরার এক মাসের মধ্যেই মূল্যবৃদ্ধির আগুনে পুড়ছে গৃহস্থ। এই মুহূর্তে আম আদমির হেঁসেলে ঘুরপাক খাওয়া মোক্ষম প্রশ্নটা হল, ‘খাব কী?’ সরকারের অবশ্য তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই বলেই অভিযোগ। খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্তব্য, এখন জোগানের সামান্য অভাব। তবে শীঘ্রই বাজারে এসে যাবে কর্ণাটকের কোলার আর অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের টম্যাটো। কমে যাবে দাম। তাছাড়া কৃষকরা অতিরিক্ত দাম পেলে ক্ষতি কী? কিন্তু সত্যিই কি কৃষকরা বেশি টাকা পাচ্ছেন? নাকি খেত থেকে বাজার পর্যন্ত পৌঁছতেই যাবতীয় সীমা লঙ্ঘন করছে খাদ্যপণ্যের দাম? তার উপর সরকারের ‘শীঘ্রই জোগান বৃদ্ধি’র আশ্বাসের সময়সীমা কবে শেষ হচ্ছে, তার কোনও দিশাও দেখানো হয়নি। এরই মধ্যে বর্ষা এসে গিয়েছে। টম্যাটো, আলু, পেঁয়াজ পচনশীল সব্জি। জোগান বাড়লেও মজুত-সমস্যা থেকেই যাবে। তাই দাম কতটা কমবে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। সরকারের ভাষায় ‘টপ’ (টম্যাটো-ওনিয়ন-পট্যাটো) মানুষ বেশি করে খাচ্ছে। তাই দাম বৃদ্ধি। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব নিধি খারে কয়েকদিন আগেই বলেছেন, ‘অতি গরমে সব্জি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাজারে জোগানের অভাব। তাই টপ দিয়েই মানুষ পেট ভরাচ্ছে।’
কিন্তু তার জন্য মাত্র এক মাসে খাদ্যপণ্যের দাম এভাবে ঊর্ধ্বমুখী হবে? মজবুত যুক্তি সাজাতে না পারলেও বৃদ্ধির বিষয়টি মেনে নিচ্ছে মন্ত্রক। সেই মতোই গড় হিসেব দাখিল করছে তারা। যদিও সেটাই সর্বাধিক নয়। বাজার ভিত্তিতে সেই সব সব্জির দাম বেশি বই কম নয়। সরকার অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছে, নিত্য খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাবে। পরিসংখ্যান সামনে রেখে সরকারের মন্তব্য, আলু চাষের এলাকা গতবারের চেয়ে ১২ শতাংশ বেড়েছে। পেঁয়াজে ২৭ শতাংশ। ফলে উৎপাদন বাড়বে। বাজারে তা এসে গেলেই দাম কমবে। কিন্তু সরকারের এই আশ্বাস কতটা বিশ্বাসযোগ্য? প্রশ্ন তুলছে জনতাই।


সব্জি        জুন            জুলাই
বেগুন    ৪০-৬০    ১২০-১৫০
করলা    ৪০-৫৫    ৭৫-৮০
ঢেঁড়শ    ৩০-৪০    ৪৫-৫৫
বিনস    ৮০-৯০    ১৭০-১৮০
কাঁচালঙ্কা    ৫০-৬৫    ১০০-১৩০
টম্যাটো    ৩০-৪০    ৫৫-৭০
পেঁয়াজ    ১২-২৩    ৩২-৩৭
আদা    ১৫০-১৬০    ২২০
রসুন    ১২৫-১৩৭    ২৪০
আলু    ২৪-২৫    ২৬-২৭
শশা    ২০-৪০    ৫৫-৬৫
ঝিঙে    ৪০    ৪৫-৫৫
পেঁপে    ১২-২৩    ৩০-৩৫

পাইকারি দর প্রতি কেজিতে। 
খুচরো বাজারে দাম ১৫-২৫ টাকা বেশি।
9d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অর্থকড়ি ক্ষেত্রে কোনও শুভ যোগাযোগ ও আয় বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্র শুভ। কাজকর্মে অগ্রগতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭৭ টাকা৮৪.৫১ টাকা
পাউন্ড১০৬.৬৮ টাকা১১০.১৯ টাকা
ইউরো৮৯.৫৩ টাকা৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা