দেশ

সব দায়ই রেলের, ব্যর্থ সিস্টেমের জন্য দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘা নিয়ে সেফটি কমিশনারের রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দায়ী নন মালগাড়ির চালক। বরং চূড়ান্ত ব্যর্থ রেলের গোটা সিস্টেম। না ছিল পরিকাঠামো, না প্রশিক্ষণ। এমনকী রেলের কর্মী থেকে স্টেশন মাস্টার—কেউ সাধারণ নিয়মগুলোও ঠিকমতো জানেন না। এমনকী, যে যে পয়েন্টে ওয়াকি টকি থাকার কথা, সেটাও ছিল না। ফলে প্রয়োজন বুঝলেও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিল না। এমনই কড়া ভাষায় ১৭ জুনের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট দিল কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। আর একইসঙ্গে রেলকেই কাঠগড়ায় তুলে দিলেন কমিশনার। অথচ, নির্মলজোত এলাকার দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যুর পরই রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া ভার্মা সিনহা দাবি করেছিলেন, মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মানাতেই বিপত্তি। এদিনের রিপোর্ট রেল বোর্ডের সেই দাবি শুধু নাকচই করে দিল না। প্রশ্ন তুলে দিল মন্ত্রকের ভূমিকা নিয়েও। কমিশনার স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, কার্যত ঈশ্বরের ভরসায় উত্তরবঙ্গের ওই অংশে চলাচল করছে রেল। যে কোনও মুহূর্তে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত এবং এমনটা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎও খুব সুরক্ষিত নয়।
মোদি সরকার লাগাতার প্রচার চালিয়ে এসেছে, রেলযাত্রীদের নিরাপত্তাতেই তাদের অগ্রাধিকার। এই বাণীবর্ষণের সঙ্গে বাস্তবের যে সম্পর্ক নেই, তা ১২ জুলাই জমা পড়া ৩৩ পাতার রিপোর্ট ছত্রে ছত্রে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সিআরএসের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, মালগাড়ির চালক ওই অংশে নির্ধারিত গতিসীমার থেকে বেশি স্পিডে ট্রেন চালিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু তার নেপথ্যে ছিল স্টেশন মাস্টারের দেওয়া লিখিত অনুমতি। তাতে নির্ধারিত গতিসীমার কোনও উল্লেখই ছিল না। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কার্যকর না থাকলে যেখানে টিডি-৯১২ ফর্ম দেওয়ার কথা, সেখানে চালকের হাতে ধরানো হয়েছিল টিএ-৯১২। আগের ফর্মটি দেওয়া হলে তাতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিমি বেগে ট্রেন চালানোর উল্লেখ থাকত। তা ছিল না বলেই মালগাড়ির চালক ওই অংশে ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে ট্রেন চালিয়েছিলেন। পরে ইমার্জেন্সি ব্রেক দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এ প্রসঙ্গেই সংশ্লিষ্ট স্টেশন মাস্টারের কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করেছে সিআরএস। গাফিলতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট রেলকর্মীকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হলেও রিপোর্ট পেশের পর এর অভিঘাত আরও বাড়তে চলেছে। চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস কিংবা মালগাড়ি নয়। ওই একই লাইনে আরও পাঁচটি ট্রেন দাঁড়িয়েছিল। একমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘার চালকই ওই অংশে নির্ধারিত গতিতে ট্রেন চালাচ্ছিলেন। বাকিরা নন। এক্ষেত্রে তাই চালক নন, সার্বিকভাবে ট্রেন পরিচালকদের অজ্ঞতাকে দায়ী করা হয়েছে রিপোর্টে। 
সিআরএসের মত, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো হয়ে গেলে কী করণীয়, তা ঠিকমতো জানেনই না রেলকর্মীরা। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ‘কাউন্সেলিং’য়ের অভাব রয়েছে। ফলে তৈরি হচ্ছে ‘মিসইন্টারপ্রিটেশন’ এবং ‘মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং’। দুর্ঘটনার সময় স্টেশনের সিগন্যালিং কন্ট্রোল অফিসে একজন মাত্র টেকনিশিয়ান ক্যাটিগরির কর্মী ছিলেন। এটি রেলের আইনের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতে সার্বিক পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সিআরএস। কিন্তু রাঙাপানি-চটেরহাট স্টেশনের মাঝে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ হয়েছিল কেন? এর জন্য বজ্রপাতকেই দায়ী করা হয়েছে রিপোর্টে। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সিআরএসের উল্লেখ, ‘এরর ইন ট্রেন ওয়ার্কিং’। অর্থাৎ ব্যর্থ রেলওয়ে সিস্টেম!
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ভাইবোনের মধ্যে সম্পত্তিগত অশান্তিতে চিত্তচাঞ্চল্য। কাজকর্মে অগ্রগতি। দাম্পত্যে সুসম্পর্ক থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১১ টাকা৮৪.৮৫ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৮ টাকা১১১.৮২ টাকা
ইউরো৯১.৮৪ টাকা৯৫.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
24th     August,   2024
দিন পঞ্জিকা