কলকাতা

জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি কুমোরটুলিতে। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

ডাক্তারি বন্‌ধের গোঁ অব্যাহত, কর্মবিরতির ১৬ দিন, দুর্ভোগ চরমে হৃদরোগীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দাবির চক্রব্যূহে ঘুরপাক খাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। এক দাবি মিটতে না মিটতেই হাজির হচ্ছে আরও দাবি। তাহলে কি জনস্বার্থের কথা না ভেবে স্রেফ আন্দোলনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে? নাকি কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলে কোনওভাবে বশ্যতা স্বীকার করা হবে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা? সঙ্গত কারণে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনীতির কারবারিরা কি ভিতরে ভিতরে আন্দোলনের দখল নিয়ে ফেলেছে? সরকার বদলের উদগ্র ইচ্ছা বাস্তবায়িত করতে চাওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকেই কি এই কর্মবিরতি টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আর সেই কারণে আন্দোলনের পক্ষপাতী আবেগপ্রবণ মেধাবীদের ক্রমাগত ‘ব্রেন ওয়াশ’ চলছে? কারণ যা-ই হোক না কেন, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে বাংলার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি রবিবার ১৬ দিন পার করল। আজ, সোমবার থেকে কর্মবিরতি উঠে যাওয়ার কোনও খবর নেই। আজ বেলা ৩টে নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে রোজকার জিবি মিটিং তো আছেই। সেখানে একাংশ বলছেন, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কাজে যোগ দেওয়া উচিত। অপর অংশের বক্তব্য, আমরণ অনশন শুরু করলে টনক নড়বে সরকারের। কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে রয়েছে একাংশ। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ডাঃ অনিকেত মাহাত বলেছেন, ‘আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলাম। আরও ২৪ ঘণ্টা হাতে আছে। ঠিক একটা কিছু ফয়সালা হবে।’ আন্দোলনের ভরকেন্দ্র আর জি করে রবিবার ইমার্জেন্সির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ১৫ জন। আগে থেকে ভর্তি আছেন প্রায় ১৫০ রোগী। আর খালি পড়ে আছে ১৮৫০টি বেড! 
রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে এদিনও রোগী ভোগান্তি অব্যাহত ছিল। আর জি করের ইমার্জেন্সি থেকে স্ত্রীকে হুইল চেয়ারে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারকনাথ দে। পাশেই পাইকপাড়ার ক্যাম্পবাগানের বাসিন্দা তাঁরা। তারকবাবু বলেন, ‘স্ত্রী পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছে। কিছু ওষুধ লিখে ছেড়ে দিলেন ডাক্তাররা। আর কতদিন এসব সহ্য করতে হবে?’ টানা কর্মবিরতির কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন হার্টের রোগীরা। ক’দিন আগে বুকে ব্যথা ও প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে পিজিতে গিয়েছিলেন বাগনানের রেখারানি দেবী। ভর্তি হতে পারেননি। তাঁর মতো বহু রোগীর জীবন সঙ্কটে পড়ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে হার্ট অ্যাটাক ও ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির রোগীদের এখন কলকাতায় আনছেন না গ্রামাঞ্চল ও শহরতলির মানুষজন। তাহলে তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়? বাইপাস লাগোয়া বিভিন্ন বড় কর্পোরেট হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের কিন্তু রোগী বাড়েনি। বরং গত ১৫ দিনে প্রাইভেট চেম্বারে অর্ধেকের বেশি রোগী কমে গিয়েছে বলে দাবি ডাঃ সরোজ মণ্ডলের মতো নামকরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের। তাহলে এত রোগী গেলেন কোথায়? ডাঃ মণ্ডল বলেন, ‘বেশিরভাগই কলকাতা এবং জেলা সদর-শহরতলির ছোট-মাঝারি নার্সিংহোমে ছুটছেন বলে মনে হয়।’ তাঁর ধারণাতেই সিলমোহর দিচ্ছে রাজ্যের ১৭০০ ছোট ও মাঝারি নার্সিংহোমের সংগঠন প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন বলেন, ‘অন্যান্য রোগীর সংখ্যা না বাড়লেও হার্টের ইমার্জেন্সি অপারেশন প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে আমাদের সংগঠনভুক্ত নার্সিংহোমগুলিতে। স্টেন্টিং, পেসমেকার, ভালভ অপারেশন বেড়ে গিয়েছে দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া জেলার ছোট ও মাঝারি নার্সিংহোমে।’ এই পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু ‘ঝোপ বুঝে কোপ মারা’ অনেক নার্সিংহোম সেই সুবিধা দিচ্ছে না। 
18d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বহু প্রচেষ্টার পর আটকে থাকা কাজের জটিলতা মুক্তি। কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.৭৯ টাকা১১১.৩৩ টাকা
ইউরো৯০.৯৫ টাকা৯৪.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা