দক্ষিণবঙ্গ

প্রায় ৩৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি নিয়েও জেলায় বাড়ল ধানচাষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির ঘাটতি থাকার পরেও খরিফ মরশুমে ধানের চাষ বাড়ল। গত বছরের তুলনায় ৪৪হাজার হেক্টর বাড়তি জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। কৃষকদের অনেকেই একেবারে শেষ মুহূর্তেও ধান চাষ করেছেন। চলতি মরশুমে মোট ১লক্ষ ৮৪হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। তাতেও ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। যদিও লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলার কারণে কৃষি দপ্তরের অধিকারিকেরা খুশি। 
জেলার উপকৃষি অধিকর্তা(ডিডিএ-প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, ২লক্ষ ৫হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা ১লক্ষ ৮৪হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করতে পেরেছি। যদিও গতবারের থেকে এবার চাষ অনেকটাই বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত মোট বৃষ্টির ঘাটতি ৩৩শতাংশ। সেই নিরিখেও ধান চাষ অনেকটা বেশি হয়েছে এবং পরিসংখ্যানও যথেষ্ট আশাপ্রদ। সাগরদিঘির কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, মরশুমের প্রথম দিকে ভয়ে ধান রুইতে পারিনি। আবার শেষের দিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে বলে ঝুঁকি নিয়েই ধান চাষ করেছিলাম। এবার বর্ষা অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। এখন আর অসুবিধা নেই। জমিতে অনেকখানি জল আছে। শক্তিপুরের কৃষক রতনকুমার সাহা বলেন, জুলাইতে তেমন বৃষ্টিই হয়নি। আগস্টের শুরুতে জমিতে ধান চাষ করি। অনেকবার সেচ দিতে হয়েছিল। মনে হয়েছিল, ধানের চারা বাঁচবেই না। সেপ্টেম্বরে অনেকটা বৃষ্টি হয়েছে। তাতে আশা করছি ফলন ভালোই হবে। 
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত জেলায় ৩৩শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। গোটা জুলাই মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির ঘাটতি ছিল প্রায় ৬০শতাংশ। আগস্ট মাসে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল প্রায় ৩০শতাংশ। তাতে মরশুমের প্রথম দিকে কৃষক মহল্লায় ধান চাষ নিয়ে দ্বিধা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিপুল পরিমাণ জমিতে ধান চাষ হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কৃষকরা, আগস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে জমিতে ধান রোপণ করেন। কিন্তু বৃষ্টির ঘাটতি তাতে বাদ সাধে। সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়ে। সার্বিক বৃষ্টির ঘাটতিও কমে আসে। যার ফলে চাষের কাজে জলের ঘাটতি অনেকখানি মিটেছে। আবার, বর্ষার জলে ধানের বেশ উপকারই হয়েছে। 
মূলত, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত খরিফ মরশুমের ধান রোপণ করা যায়। কিন্তু এবার বৃষ্টির খামখেয়ালিপনার জেরে চাষের কাজ পিছিয়ে যায়। আগস্টের শেষ সপ্তাহও পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। তাতে ধান চাষের মরশুম পিছিয়ে যেতে থাকে। গতবারও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে করতে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬৭শতাংশ জমিতে আমন ও আউশ ধান চাষ করতে পেরেছিলেন। এবারও পরিস্থিতি সেই দিকেই যাচ্ছিল। অনেকেই জলসেচ দিয়ে চাষ বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। শেষপর্যন্ত সেপ্টেম্বরে এসে বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই কমেছে। তাতেই আশার আলো দেখছে সাবেক নবাবী তালুকের কৃষক মহল্লা।
10Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা