উত্তরবঙ্গ

১০ নম্বর এনএইচের অস্তিত্ব সঙ্কটে, আন্দোলনে নামছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: নাব্যতা কমেছে তিস্তা নদীর। যার জেরে নদীর জলস্তরের উচ্চতা বেড়েছে। দোসর বৃষ্টি। তাই কালিম্পং ও সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। ঘনঘন সংশ্লিষ্ট সড়ক ধসে যাওয়ার ঘটনা পর্যালোচনা করেই এমন আশঙ্কা করছেন পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, ধস ও নদী ভাঙনের জেরে ওই রাস্তা ঘনঘন বন্ধ থাকায় পর্যটন ব্যবসা কার্যত লাটে উঠেছে। তাই ভূ-বিদদের দিয়ে সমীক্ষা করে রাস্তাটি পাকাপাকিভাবে মেরামত করার দাবি তুলেছেন ট্যুর অপারেটররা। তারা এই ব্যাপারে বাংলা ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র পাঠাবেন। 
শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং হয়ে সরাসরি সিকিমগামী রাস্তাগুলির মধ্যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক অন্যতম। এই রাস্তার করোনেশন সেতু থেকে সিকিম সীমান্তের রংপো পর্যন্ত অংশ কালিম্পং জেলার অধীনে। যা ৫২ কিমি লম্বা। এই রাস্তার পাশ দিয়েই সমতলে নেমেছে তিস্তা নদী। শুখা মরশুমে তিস্তা এই সড়কে থাবা বসায়। ভারী বর্ষায় তিস্তার দাপট আরও বেড়েছে। ক্রমাগত নদী ভাঙন ও ধসে বিধ্বস্ত রাস্তাটি। এটির অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন পূর্তদপ্তরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ বলেন, প্রায় ১০ মাস আগ সিকিম বিপর্যয়ের জেরে তিস্তাবক্ষ উঁচু হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ পাহাড়ের নুড়ি, বোল্ডার, বালি, পলি প্রভৃতি জমেছে তিস্তার গর্ভে। এর জেরে তিস্তার জলস্তরের উচ্চতাও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে সর্বদাই স্বাভাবিকের থেকে প্রায় পাঁচ মিটার উচুতে থাকছে নদীর জল। পাহাড়ের উঁচু উপত্যকায় বৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে মাঝেমধ্যেই নদীর জলস্তর অস্বাভাবিক বাড়ছে। আবার তা কমেও যাচ্ছে। এরজেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে যাচ্ছে। কাজেই রাস্তাটিকে বাঁচিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। 
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাও একইরকম। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক রঞ্জন রায় বলেন, তিস্তাকে কেন্দ্র করে কিছু জল বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। সেগুলি থেকে মাঝেমধ্যেই জল ছাড়া হয়। আর বর্ষার মরশুমে পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছেই। এই দুইয়ের প্রভাবেই নদী ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। বিপর্যয় হচ্ছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় নদীর নাব্যতা কমেছে। নদীর জলধারণ ক্ষমতা কমেছে। তাই ঊর্ধ্ব অববাহিকা থেকেই গতি পথ পরিবর্তনের চেষ্টা করছে তিস্তা। এজন্য নদী তলার মাটি কাটছে। কাজেই সিকিম ও কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি রয়েছে। এদিকে, রবিবার বিরিকদারার কাছে ভিউপয়েন্টে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১০ মিটার অংশ গ্রাস করেছে তিস্তা। যার ফলে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। তাই টানা তিনদিন ধরে রাস্তাটি দিয়ে যান চলাচল পুরোপুলির বন্ধ। পূর্তদপ্তর সেখানে পাহাড় কেটে রাস্তা সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করছে। এনিয়ে গত একমাসে রাস্তাটি একাধিকবার বন্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, গত বছর অক্টোবর মাসে সিকিমে হ্রদ বিপর্যয় হয়। সেই থেকেই ১০নম্বর জাতীয় সড়ক মাঝেমধ্যেই বন্ধ থাকছে। গত মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রায় পাঁচবার বন্ধ ছিল। এতে পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি কালিম্পং ও সিকিমের অর্থনীতি মার খাচ্ছে। অন্যবারের মতো পুজোর পর্যটন ব্যবসা নিয়ে এবার এখনও তেমন সাড়া মেলেনি। তাই ভূ-বিদদের দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে রাস্তাটি বাঁচাতে হবে। এজন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠাব।  নিজস্ব চিত্র
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭১ টাকা৮৪.৪৫ টাকা
পাউন্ড১০৪.৭৯ টাকা১০৮.২৭ টাকা
ইউরো৮৮.৫৯ টাকা৯১.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা