কলকাতা

কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার: এবার নিজের রেকর্ড ভাঙার লড়াই  অভিষেকের

সুকান্ত বসু , ডায়মন্ডহারবার: ‘হীরক বন্দরের’ লড়াইটা এবারও ‘অভিষেক’ বনাম ‘অভিষেক’। লড়াইটা ২০১৪’র তরুণ তুর্কির সঙ্গে ২০২৪’এর পরিণত রাজনীতিবিদের! আর ২০১৯’র জয় ব্যবধানকে এবার ছাপিয়ে যেতে চান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! প্রতিপক্ষ বিজেপি, আইএসএফ এবং সিপিএমের প্রচার আর জনসমর্থন বাড়ার দাবির মাঝে ডায়মন্ডহারবার জুড়ে এখন একটাই রাজনৈতিক চর্চা—কত হবে অভিষেকের ব্যবধান? এবার কি চার লক্ষ পার......! 
সাংসদ হিসেবে গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে কটাক্ষ করার সাহস পাচ্ছেন না কোনও প্রতিপক্ষই। সাংসদ অভিষেক কাজ করেছেন? ডায়মন্ডহারাবার শহরে চিরে যে রাস্তাটা বকখালি পর্যন্ত গিয়েছে, সেটা জাতীয় সড়ক ১১৭। সেই সড়কের ধারে রবীন্দ্রনগরের চায়ের দোকানে মঙ্গলবার বিকেলে জমজমাটি আড্ডা। সেখানেই প্রশ্নটা পাড়া মাত্রই রে রে করে উঠলেন মধ্যবয়স্ক তপন পোড়েল। ‘কাজ মানে, চোখ খুলে দেখুন! রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগের মতো পরিষেবা তো রয়েছেই, সেগুলো তো সাংসদেরই কাজ। কিন্তু যে কোনও বিপদে-আপদে, করোনা পর্বে নিরন্নের মুখে নিয়মিত খাবার তুলে দেওয়া তো রয়েছেই, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ সবসময় পাশে পেয়েছেন অভিষেককে। মুখে সমর্থন করার দরকার নেই, কিন্তু যে বা যাঁরা মানছে না, জানবেন তা রাজনৈতিক কারণেই! অভিষেকের জন্য আজ লোক ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল’ নিয়ে চর্চা করছেন।’
নির্বাচন ঘোষণার বহু আগে থেকেই চর্চায় ডায়মন্ডহারবার। গেরুয়া আর লাল শিবিরের যাবতীয় আক্রমণের ‘অভিমুখ’ যে এখানকার সাংসদই। সেটা মানেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কেল্লার মোড়ের পিউ দেব। তাঁর কথায়, ‘মানুষের পরিষেবা প্রদান যদি সাংসদের কাজ হয়ে থাকে, তাহলে ইতিমধ্যেই স্টার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন অভিষেক। কলেজ, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মৎস্যজীবীদের মানোন্নয়ন—সবক্ষেত্রেই অভিষেক সম্পূর্ণ সফল এমনটা নয়, তবে পরিস্থিতিটা পাল্টে দিয়েছেন।’ মায়া রোডের তরুণ মলয় মণ্ডলের কেমন যেন একটা ‘নাক সিঁটকানো’ ভাব রয়েছে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে নিয়ে। কপালের গেরুয়া তিলক দেখিয়ে মলয়ের বক্তব্য, ‘এখানেও এবার ‘আব কী বার চারশো পার’এর হাওয়া বইছে। মানুষ যদি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, ফলাফল দেখবেন কী হয়! ফলতা, বিষ্ণুপুর, ডায়মন্ডহারবার কোথাও বিরোধীদের প্রচার করতে দিচ্ছে না, ভয় দেখাচ্ছে ওরা (তৃণমূল)।তবে এটা জানবেন, যিনি প্রভু রামকে এনেছেন, তাঁকেই (নরেন্দ্র মোদি) আনবে সাধারণ মানুষ!’ এতদিন কি ভগবান রামচন্দ্র গৃহহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন? প্রশ্ন শুনে আর দাঁড়াননি ‘গেরুয়া ভক্ত’। 
প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল, রুদ্রনীল ঘোষের মতো একগুচ্ছ নাম বাজারে ভেসে বেড়ালেও, বিজেপি এখানে অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়াইতে নামিয়েছে ‘ববি’কে। ববির আসল নাম অভিজিৎ দাস। দীর্ঘদিনের পরিচিত বিজেপি। এহেন প্রার্থীকে নিয়ে ‘আশায় বুক বেঁধেছে’ পদ্মপার্টি। বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার হালদারের কথায়, ‘আমাদের লড়াকু প্রার্থী, পরিচিত মুখ। উত্তরাধিকারী হিসেবে রাজনীতিতে আসেননি। লড়াই করে এসেছেন। মানুষ যদি ইভিএম পর্যন্ত পৌঁছতে পারে, তাহলে ভোটের ছবিটাই বদলে যাবে।’ কথাটা শুনে হেসেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল নেতা শামিম আহমেদ। কটাক্ষ ছিল তাঁর গলায়—‘লড়াকু নেতা! এখানে লড়াকু নেতা একজনই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত পথে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালাচ্ছেন বলেই বাম-রাম সবার নিশানায় একজনই, অভিষেক। ডায়মন্ডহারবারের মানুষ এবার চার লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতাবেন তাঁদের প্রিয় সাংসদকে।’
বিজেপির ‘লড়াকু’ প্রার্থীর প্রোফাইল কিন্তু অন্যকথা বলছে! এই নিয়ে তিনবার পদ্ম প্রতীকে ডায়মন্ডহারবারে লড়বেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। ২০০৯ সালে তৃতীয় হওয়ার পাশাপাশি খুইয়ে ছিলেন জামানত। 
২০১৪ সালে তৃতীয় হলেও জামানত বাঁচিয়েছিলেন। এবার আবার এহেন প্রার্থী অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী। হীরকবন্দরে বরং প্রতীক-উর-রহমানকে প্রার্থী করে পালে কিছুটা হলেও হাওয়া পেয়েছে সিপিএম। মিটিং-মিছিলে লোকজনও চোখে পড়ার মতো। প্রতীক-উরের গলাতেও বাকি বিরোধীদের মতো একই সুর—এখানে উন্নয়নের নামে তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের রমরমা কারবার চলছে। মানুষই তার জবাব দেবে।’ গত এক বছর ধরে আস্ফালন করলেও, আইএসএফ যে প্রার্থী মজনু নস্করকে আসরে নামিয়েছে, তিনি অভিষেককে ‘বেগ’ দেবেন, এমনটা মানতে চাইছে না কেউই। তাহলে কী হবে ডায়মন্ডহারবারের? জবাব এসেছে অভিষেকের রোড  শো’তেই। টানা আট কিলোমিটার রাস্তা ধরে যে জনপ্লাবন তৃণমূল সেনাপতিকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে, ফারাকটা তৈরি হয়েছে সেদিনই।
1Month ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা