বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর

ছত্রাকঘটিত রোগের জন্য শুকিয়ে যাচ্ছে আলুগাছ

অরূপ ভট্টাচার্য  বাঁকুড়া: গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বাজারে আলুর দাম চড়া। তাই একটু বেশি লাভের আশায় আমন ধান তুলেই জলদি আলুর চারা লাগিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ও সোনামুখীর চাষিরা। কিন্তু, আলুর গাছ বেরনোর পরই শুরু হয়েছে ছত্রাকের আক্রমণ। তার জেরে প্রথমে নেতিয়ে যাচ্ছে গাছ। পরে তা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। কীভাবে তাঁরা ছত্রাকের হাত থেকে চারাগাছ রক্ষা করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। চারাগাছ রক্ষা করতে তাঁরা কৃষিদপ্তরের সাহায্য নিচ্ছেন।  
বাঁকুড়া জেলা কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, স্থানীয় ভাষায় চাষিরা ছত্রাকের এই আক্রমণকে ঢলে পড়া রোগ বলে থাকেন।  বিষয়টি নজরে আসার পরই চাষিদের চারা রক্ষা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষেধক হিসেবে থাইফেনেড মিথাইল প্রতি ব্যারেলে ২০ গ্রাম বা কারবেন্ডাজাইম ৫০ শতাংশ ব্যারেল পিছু ১৫ থেকে ২০ গ্রাম মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও গাছের গোড়া ঘেঁষে কপার অক্সিক্লোরাইড ছেটালে সমস্যা কিছুটা মিটবে। তারপরেও সমস্যা থাকলে চাষিরা স্থানীয় কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের পরামর্শ নিতে পারেন।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার সোনামুখী, বিষ্ণুপুর, পাত্রসায়র, ইন্দাস, কোতুলপুর ব্লক এলাকার চাষিরা আমন ধান তোলার পরই আলু চাষ করেন। অন্যান্য বছরের মতো এবারও তাঁরা আমন ধান তোলার পরই বাজার থেকে আলুর বীজ কিনে তা শোধন করে লাগিয়েছেন। কিন্তু, এবার গাছ বেরনোর ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সেগুলির গোড়া প্রথমে কিছুটা বাদামি রঙের হয়ে যাচ্ছে। পরে গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সোনামুখী ব্লকের নবাসন, তেলরুই, নন্দনপুর, বারুইবেড়া প্রভৃতি গ্রামে দেখা গিয়েছে। তবে দ্রুত তা আশেপাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও বিষ্ণুপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামেও ছত্রাকের আক্রমণ শুরু হয়েছে। নবাসন গ্রামের আলু চাষি তাপস দাস বলেন, গতবছরেও আমনের ধান তুলে জমিতে জলদি আলু লাগিয়েছিলাম। বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। ৭০ দিন পর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বস্তা আলু উঠেছিল। এবার খোলা বাজারে আলুর দাম বেশ চড়া রয়েছে। তাড়াতাড়ি আলু তুলতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে, এই আশায় প্রায় তিনগুণ দাম দিয়ে আলু বীজ কিনে চার বিঘা জমিতে লাগিয়েছিলাম। বিঘা প্রতি ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এবার গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাছ বেরনোর কয়েকদিনের মধ্যেই গোড়া বাদামি রঙের হয়ে যাচ্ছে। পরে ক্রমশ গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।
নবাসন গ্রামের চাষি জয়দেব পালুই বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। ছত্রাকের আক্রমণে গাছ বেরনোর কয়েক দিনের মধ্যেই তা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই গাছ তুলে ফেলে ফের খরচ করে আলু লাগিয়েছি। এবারও একই অবস্থা হলে লোকসানের শেষ থাকবে না। কীভাবে গাছ বাঁচানো যাবে এবং কতটা ফলন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে খুবই চিন্তায় রয়েছি।  ফাইল চিত্র

10th     December,   2020
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ