পুরাতন মালদহে রঙিন ফুলকপি চাষে
কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে জেলা কৃষিদপ্তর

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মালদহে ক্যারোটিনা ও ভ্যালেন্টিনা, এই দুই প্রজাতির রঙিন ফুলকপি চাষে উৎসাহ দিচ্ছে কৃষিদপ্তর। ক্যারোটিনা গেরুয়া এবং ভ্যালেন্টিনা বেগুনি রঙের হয়। পুরাতন মালদহ ব্লকে এই দুই প্রজাতির ফুলকপির চাষ শুরু হয়েছে। কৃষিদপ্তরের আতমা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এই ফুলকপির পুষ্টিগুণ সাধারণ ফুলকপির তুলনায় অনেকটাই বেশি। গেরুয়া এবং বেগুনি এই দুই রঙের ফুলকপি সব্জি হিসেবে রান্না করে খেলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্বভাবতই এ ধরনের ফুলকপি চাষ ঘিরে এলাকায় বেশ উৎসাহ তৈরি হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা ফুলকপি দেখতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন। কৃষিদপ্তরের কর্তারাও এনিয়ে উৎসাহিত। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এক একর জমিতে ব্যাপক ফলন হওয়ায় এলাকার কৃষকদের এ ধরনের ফুলকপি চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এলাকার কৃষক মনতোষ রাজবংশীর জমিতে নয়া দুই প্রজাতির ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। প্রথমবার রঙিন ফুলকপি ফলিয়ে লক্ষাধিক টাকার ফসল বিক্রি করেছেন ওই কৃষক। ফলে এই ফুলকপি চাষ করে অনেকেই লাভবান হতে পারেন বলে আশায়  কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা।  
পুরাতন মালদহ ব্লক কৃষিদপ্তরের সহ অধিকর্তা সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ক্যারোটিনা ও ভ্যালেন্টিনা দুই প্রজাতির  ফুলকপি ব্লকে চাষ শুরু হয়েছে। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে  এর উৎপাদনের হার দেখেছি। তাতে আমরা দারুণ আশাবাদী। এ ধরনের ফুলকপির গুণগত মান ভালো। বিশেষ করে পুষ্টিমূল্য অনেকটাই বেশি। মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমরা কৃষকদের এ ধরনের ফুলকপি চাষে পরামর্শ দিচ্ছি। অনেকে উৎসাহিত হয়ে রঙিন ফুলকপি চাষের জন্য আমাদের কাছে আসছেন।  
পুরাতন মালদহের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সানঝাইলের বাসিন্দা মনতোষ রাজবংশী বলেন, কৃষিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন প্রজাতির ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মনে হচ্ছিল, এই ফুলকপি ভালো হবে না। তবে পর দেখা যায়, চাষ ভালোই হয়েছে।   
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউরোপ, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, উত্তর আমেরিকায় মূলত ক্যারোটিনা ও ভ্যালেন্টিনা প্রজাতির ফুলকপি চাষ হয়ে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফুলকপি  ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চাষাবাদ শুরু হয়েছে। তবে পুরাতন মালদহে এ ধরনের চাষ প্রথম। ইংলিশবাজারেও হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি চাষ শুরু হয়েছে। এই ফুলকপিতে  রয়েছে মাল্টি ভিটামিন। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম। বিশেষ করে হাড়ের ক্ষয় রোধে এই ফুলকপি উপকারী  বলে  জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।  সাধারণ ফুলকপির মতোই এই ফুলকপি চাষ করতে হয়। তবে চারা তৈরি করতে হয় খুবই সূক্ষ্মভাবে। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার  কথা বলছেন আধিকারিকরা। পরীক্ষামূলকভাবে যে ফুলকপি চাষ হয়েছে, সেটির আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০-৭০ টাকা কেজি। যা সাধারণ ফুলকপির চেয়ে বেশি। স্বভাবতই এ ধরনের ফুলকপি চাষ করলে একদিকে যেমন কৃষকরা উপকৃত হবেন, তেমনই মানুষজন এই ফুলকপি খেয়ে শরীরে গড়ে তুলতে পারবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। 
33Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা