বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর

শীত পড়তেই জমে উঠেছে 
পূর্বস্থলীর নলেন গুড়ের বাজার

অভিজিৎ, পূর্বস্থলী: শীত পড়তেই জমে উঠেছে পূর্বস্থলী-২ ব্লকের পাটুলি স্টেশনবাজার সংলগ্ন নলেন গুড়ের পাইকারি বাজার। এখানকার নলেন গুড় যাচ্ছে কলকাতা, হাওড়া, দুর্গাপুর, আসানসোল, চুঁচুড়া সহ বিভিন্ন এলাকায়। রেলের কাটোয়া-হাওড়া শাখায় পাটুলি রেলস্টেশনের পাশেই এই পাইকারি বাজারে ১৫টি আড়ত রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে এই বাজার। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে কেনাবেচা।  শীতের মরশুমে প্রতিদিন এখানে লক্ষ লক্ষ টাকার নলেন গুড় বিক্রি হয়। অধিকাংশ জোগান আসে নদীয়া জেলা থেকে। এখানে আড়তে নলেন গুড়ের বিভিন্ন আইটেম থাকে। যেমন, থালাগুড়, বাটিগুড়, ঝোলাগুড়, দানাগুড় ও বেনালা গুড়। আড়তদারদের দাবি, এবছর গুড়ের উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে দাম বাড়েনি। 
পাটুলি রেলস্টেশনের পাশে ৩০ বছর আগে নলেন গুড়ের আড়তে কেনাবেচা শুরু হয়। তার আগে এই আড়ত ছিল পাটুলি তহবাজারের কাছে। বর্তমানে রেলস্টেশনের পাশে আড়ত হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধা হয়েছে। ট্রেনে ও সড়কপথে বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোলে ট্রাকবোঝাই হয়ে ওই নলেন গুড় যায়।
স্থানীয় আড়তদার আনিশ দফাদার, সাবির দফাদার বলেন, আড়তে নদীয়ার নাকাশিপাড়া অঞ্চলের নলেন গুড় বেশি আমদানি হয়। আমরা শিউলিদের অগ্রিম দাদন দিয়ে রাখি। কেউ কেউ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে রাখেন। ফলে, আড়তে গুড়ের জোগান পেতে কোনও সমস্যা হয় না। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে আড়তগুলিতে ট্রাক, মোটরভ্যানভর্তি গুড় আসা শুরু হয়। নদীয়ার গুড় আসে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে পাটুলিঘাট, অগ্রদ্বীপঘাট, মেটেরিঘাট হয়ে। স্থানীয় এলাকার নলেন গুড় আসে ট্রলিভ্যান বা টোটোয়। 
পাটুলির এক আড়তদার বানু দফাদার বলেন, শিউলিরা ভোরের দিকে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। সেই রস উনুনে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করতে করতে বেলা ১০টা বেজে যায়। পাইকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই গুড় সংগ্রহ করেন। এরপর সব গুড় একত্রিত করে তাঁরা আমাদের আড়তে নিয়ে আসেন। আমদানির উপর নলেন গুড়ের দাম ওঠা-নামা করে। রবিবার থালাগুড় ৫৫ টাকা, বাটিগুড় ৬২ টাকা, ঝোলাগুড় ৫২ টাকা থেকে ৭০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়।
ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ডাউন লোকাল ট্রেনে চেপে পাটুলির নলেন গুড় পাড়ি দিচ্ছে হাওড়ার উদ্দেশে। অধিকাংশই যায় নামীদামি মিষ্টির দোকানে। ব্যান্ডেল রেলস্টেশনের পর থেকে বিভিন্ন রেলস্টেশনে ঝাঁকা বা প্লাস্টিকের ক্যারেটভর্তি নলেন গুড় নামানো শুরু হয়। খুচরো বিক্রেতা কওসার দফাদার বলেন, মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কাছে থালাগুড়ের চাহিদা বেশি। আমরা তাঁদের ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করি। 
পাটুলি রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরে বের হলেই প্রথমে চোখে পড়ে রহমত গুড় আড়ত। ওই আড়তের এক মালিক রহমত দফাদার বলেন, ২৫ বছর ধরে আড়ত চালাচ্ছি। ১৫ জন কাস্টমার আছেন। কলকাতার বহু নামীদামি মিষ্টির দোকানে আমার আড়তের নলেন গুড় সরবরাহ করি। একদম খাঁটি গুড় বিক্রি করি। তাই তার দাম একটু বেশি নেওয়া হয়।

9th     December,   2020
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ