অমৃতকথা

ধ্যান

আমি তাঁকে (শ্রীরামকৃষ্ণকে) দর্শন করেছি, মানে আমি সাক্ষাৎভাবে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করেছি। আমি রামকৃষ্ণ ছাড়া কারও পায়ে মাথা নোয়াইনি। সতের বৎসর বয়স হতে ঠাকুরকেই ধরে আছি। তিনিই শক্তি, তিনিই শান্তি, তিনিই একমাত্র আশ্রয়, এ ভিন্ন আর কিছুই জানিনে। শ্রীশ্রীঠাকুর অকূলের কাণ্ডারী। তিনিই আমাদের একমাত্র সহায় ও সম্বল।
শ্রীশ্রীঠাকুর ও মা কালীকে অভিন্ন জ্ঞানে ধ্যান করবে। ঠাকুরের ভেতর মা কালী আছেন, একাধারে দুই বিদ্যমান। তিনি যেন মা কালীর মুখশ্রী, মা কালীর জীবন্ত মূর্তি। শ্রীশ্রীমা হলেন সরস্বতী জ্ঞানদায়িনী, আবার মুক্তিদাত্রী মহামায়া। যখন ধ্যান বা পূজা করবি, তখন মনে মনে একটা পদ্ম কল্পনা করে নিস্‌। তার বারোটা পাপড়িতে এক একজন ঠাকুরের অন্তরঙ্গ বসবেন, আর মধ্যে ঠাকুর। এইরূপ চিন্তা করে এক একটা ফুল দিবি। এঁরা ঠাকুরের অংশ, এদের পূজায় ঠাকুর সন্তুষ্ট হবেন।
শ্রবণ মানে শোনা নয়, বিচার। ধ্যানের সময় বিচার অর্থাৎ জ্ঞান থাকবে। বিচারহীন ধ্যান নিদ্রারই সামিল। সমাধিই বৌদ্ধের নির্বাণ। ইহার অর্থ সর্বপ্রকার অপূর্ণতার অবসান এবং পরমানন্দ লাভ। ইহা শূন্যাবস্থা নয়, পরন্তু পূর্ণতালাভের অবস্থা। আত্মা ও পরমাত্মা একই জিনিস। জীবভাবে আত্মা, স্ব-স্বরূপে পরমাত্মা। জীবাত্মা পরমাত্মারই প্রতিবিম্ব। বিশ্বের আত্মারই ঈশ্বর। প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মে কোন গুণ থাকতে পারে না, কারণ গুণ তাতে থাকলেই তো তিনি গুণের দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বেন। ব্রহ্ম জগতের নিমিত্ত ও উপাদান কারণ, তবুও ব্রহ্ম কোন কারণ নন্‌—঩কেননা, ব্রহ্ম স্বরূপত নির্গুণ ও নির্বিশেষে; তাঁ’তে মায়ার লেশমাত্র নেই। ‘কারণ’ শব্দটাই আপেক্ষিক। ব্রহ্ম কারণরূপ গুণের অতীত। আমরা নির্গুণ ব্রহ্মে কারণরূপ ধর্ম আরোপ করে থাকি, যেহেতু জগৎটাকে দেখি। ব্যবহারিক সত্য মানে জগৎটা যতক্ষণ দেখছ ও তার ব্যবহার করছ, ততক্ষণই সত্য। ব্রহ্মজ্ঞানের আগে পর্যন্ত জগতের অনুভব হয় বলে একে আপেক্ষিক সৎ বলা হয়। পারমার্থিক অর্থাৎ ব্রহ্মের দিক দিয়ে জগৎ অবাস্তব।
‘একোহহম্‌ বহু স্যাম্‌’—ভাবে তিনি প্রথমে যেমন বহু হয়েছিলেন, সে রকম ভাবে তিনি অনন্তকাল বহু হয়ে লীলা করবেন। লাখ লাখ সৌরজগৎ তিনি প্রতি মুহূর্তে সৃষ্টি করতে পারেন, তাঁর কী কখনো সৃষ্টি লোপ পেতে পারে? স্বপ্নে সত্য বোধ হওয়ার ন্যায় যতবার ভ্রমবশত জগৎটা সত্য বলে বোধ হয়, ততক্ষণই জগৎ ব্রহ্মের শক্তি বা বিকাশ। কিন্তু জ্ঞান হলে যাঁর বিকাশ, তাঁকেই সত্য বলে স্থির ধারণা হয়।
জড় নিত্য জ্ঞেয়স্বরূপ বিষয়, চৈতন্যময় আত্মা নিত্য জ্ঞাতস্বরূপ বিষয়ী। Spirit বিষয়ের দ্রষ্টা, কর্তাস্বরূপ; matter সর্বদা দৃষ্ট কর্মস্বরূপ। জ্ঞাতা আত্মা বা বিষয়ী আছে বলেই জ্ঞেয় বিষয় বা অনাত্মপদার্থের বিদ্যমানতা সম্ভবপর। জড় হতে কখন জ্ঞাতার উৎপত্তি হতে পারে না। জ্ঞেয় বিষয় পরমার্থ তো এক এবং জ্ঞাতা বিষয়ীও একটি মাত্র, ক্ষুদ্র জীবাত্মা তাঁরই ক্ষুদ্র প্রতিবিম্ব বা অংশরূপে প্রকাশমান হচ্ছে। বিশ্বাত্মা অদ্বিতীয়, অনন্ত সত্তাস্বরূপ সমুদ্র, যাতে অসংখ্য আবর্তের ন্যায় ব্যক্তিগত জীবাত্মাসমূহ বিরাজ করছে।
স্বামী অভেদানন্দজীর ‘অমিয়বাণী’ গ্রন্থ থেকে
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা