বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিশেষ নিবন্ধ

যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না। তাই ভক্তের হৃদয়ে অবতার বা মহামানবরা চিরদিনই সীমা অতিক্রম করে বিদ্যমান। শ্রীরামকৃষ্ণ ঐতিহাসিকের কাছে হয়তো একজন মানুষ মাত্র, কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবানুরাগী ভক্তের কাছে প্রেমলোকবিহারী ‘মনের মানুষ’। তাই তাঁকে স্থান-কাল-ঘটনা সীমার মধ্যে বেঁধে রাখা চলে না।
শ্রীরামকৃষ্ণ, একাধারে রাম ও কৃষ্ণ। শ্রীরামকৃষ্ণ নিজেই বলছেন—‘যে রাম, যে কৃষ্ণ, সেই ইদানীং রামকৃষ্ণ।’ আরও বলছেন—‘এবার ছদ্মবেশে আসা, রাজা যেমন কখনও কখনও ছদ্মবেশে বের হয়। প্রজাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য।’ শ্রীরামকৃষ্ণ রাজার রাজা। ভগবান স্বয়ং ছদ্মবেশে এসেছেন প্রজাদের দুঃখ, দুর্দশা, জাগতিক অবস্থা দেখার জন্য। আর একদিন বলছেন—‘দেখলাম, খোলটি (দেহটি) ছেড়ে সচ্চিদানন্দ বাহিরে এল, এসে বললে, আমি যুগে যুগে অবতার।’ ভাগবতে আছে—সত্ত্বগুণের আকর হরির অসংখ্য অবতার। তিনি যেন একটা অক্ষয় সরোবর। সহস্রধারায় তা থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে নানাদিকে, কিন্তু সেই সরোবর যেমন ছিল তেমনই আছে। ঈশ্বর তেমনই যেমন ছিলেন তেমনই আছেন, কিন্তু তাঁর করুণাধারা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অবতারের ভিতর দিয়ে।
ঠাকুরকে প্রণাম করে গিরিশচন্দ্র ঘোষ বললেন—‘রামচন্দ্র জয় করেছিলেন ধনুর্বাণে, শ্রীকৃষ্ণ মুরলীর মধুর ধ্বনিতে আর আপনি জয় করলেন প্রণাম-মন্ত্রে।’
‘মদীয় আচার্যদেব’ শীর্ষক ভাষণে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন—‘অন্যান্য আচার্যেরা বিশেষ বিশেষ ধর্ম প্রচার করিয়াছেন, সেইগুলি তাঁহাদের নিজ নিজ নামে পরিচিত। কিন্তু ঊনবিংশ শতাব্দীর এই মহান আচার্য নিজের জন্য কিছুই দাবি করেন নাই। তিনি কোনো ধর্মের ওপর কোনরূপ আক্রমণ করেন নাই কারণ তিনি সত্যসত্যই উপলব্ধি করিয়াছিলেন যে, ওই ধর্মগুলি এক সনাতম ধর্মেরই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মাত্র।’ ঠাকুরের বিভিন্ন সাধনপথে উপলব্ধির কথা উল্লেখ করেছেন স্বামী অভেদানন্দজি এভাবে: ‘ভগবান এক—ঈশ্বর, আল্লা, GOD, হরি, জিহোবা, জগজ্জননী প্রভৃতি তাঁহার বিভিন্ন নামমাত্র। সুতরাং মূলত প্রত্যেক ধর্মই সত্য—যত মত তত পথ। মানুষ সংযমী, ত্যাগী, সত্যনিষ্ঠ, বিবেকি, পবিত্রচিত্ত, সরল ও ভক্তিমান হইলে যে কোনো ধর্মমতে তিনি সাধনার দ্বারা মুক্তিলাভ করিতে পারেন। ঈশ্বর অনন্ত—তাঁহার ভাবও অনন্ত। তিনি সাকার, নিরাকার এবং তাহারও অতীত আরও কত কি—ঈশ্বরীয় ভাবের ইতি করিতে নাই।’
ঠাকুর যখন নিজের বাসনা অনুসারে ভাবনেত্রে, দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে, শ্রীগৌরাঙ্গের নগর-সংকীর্তন দেখলেন, তখন সেই বিরাট সঙ্গীত তরঙ্গায়িত জনসমুদ্রে দেখছেন—শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু, শ্রীনিত্যানন্দ ও অদ্বৈতাচার্যকে—এই জনসম্মেলনে শ্রীরামকৃষ্ণ দুটি মুখকে চিনতে পেরেছিলেন—যাঁরা তাঁর পার্ষদরূপে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁদের একজন ছিলেন কথামৃতকার মাস্টারমশাই আর অপরজন ভক্তপ্রবর বলরাম বসু। পরে একদিন শ্রীমকে বলেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ, তোমাকে শ্রীচৈতন্যের পার্ষদদের সঙ্গে দেখেছি। শ্রীরামকৃষ্ণ তো পূর্ব যুগে শ্রীচৈতন্যরূপে লীলা করেছিলেন। আবার এসেছেন তিনিই শ্রীরামকৃষ্ণের খোলে। তিনি এসেছেন আর তাঁর পার্ষদরাও এসেছেন—যাঁরা তাঁর লীলাসহচর। কিন্তু এসব তো মাস্টারমশাই জানেন না, কিন্তু জানতেন অবতার পুরুষ, মায়াধীশ শ্রীরামকৃষ্ণ।
ভক্ত বলছেন—আমার বোধহয়—যিশু খ্রিস্ট, চৈতন্যদেব আর আপনি এক ব্যক্তি। ঠাকুর বলছেন—এক এক বই কী। এই ভাবময়তা শ্রীরামকৃষ্ণ জীবনেও বারবার প্রতিফলিত। তিনি বলছেন—‘কখনও রাধাকৃষ্ণের ভাবে থাকতাম। এরূপ সর্বদা দর্শন হতো। আবার কখনও গৌরাঙ্গের ভাবে থাকতাম, দুই ভাবের মিলন—পুরুষ ও প্রকৃতি ভাবের মিলন। এই অবস্থায় সর্বদাই শ্রীগৌরাঙ্গের রূপ দর্শন হতো।’
শ্রীশ্রীগৌরী-মা তো বলতেন—শ্রীশ্রীচৈতন্যদেব ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব—এ দুয়ে অভেদ।
শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবাবেশ লক্ষ করে, ভৈরবী ব্রাহ্মণী প্রথম বললেন—পাগলামি নয়, এ হচ্ছে মহাভাব। শাস্ত্রে আছে, এই মহাভাব দৃষ্ট হতো শ্রীমতী রাধিকা ও শ্রীচৈতন্যের কায়ায়। শ্রীচৈতন্যের এই মহাভাব বিষয়ে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন—চৈতন্যদেবের যখন বাহ্যদশা হতো তখন নাম-সংকীর্তন করতেন। অর্ধ-বাহ্যদশায় ভক্ত সঙ্গে নৃত্য করছেন। অন্তর্দশায় নির্বিকল্প বা ভাবসমাধি। এই কথাগুলি শুনে, মাস্টারমশাই-এর স্বগতোক্তি—ঠাকুর কি নিজের সমস্ত অবস্থা এই রূপে ইঙ্গিত করছেন! কীর্তন গানে ভাবাবিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণের প্রসঙ্গটি ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ-কথামৃত’-এ বহুবার বর্ণিত হয়েছে। কখনও গান শুনে তিনি সমাধিস্থ, কখনও রাধাভাবে গাইছেন বা আখর দিচ্ছেন, আবার কখনও ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনে নৃত্যরত। ঠাকুর বলছেন ভক্তদের—তাঁকে লাভ করার জন্য গান গাও। আনন্দের গান। হরিনাম মদিরায় মত্ত হও। তাঁকে নিয়ে আনন্দ—তাঁকে নিয়ে মাতোয়ারা হওয়া। ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে সংকীর্তন, নগর-সংকীর্তনের প্রচলন ঘটে কেশবচন্দ্র সেন শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে আসার পরে। কীর্তনানন্দে ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলিত হওয়ার পশ্চাৎপট শ্রীরামকৃষ্ণের প্রভাব। এই প্রভাব কতদূর বিস্তৃত হয়েছিল, তা বোঝা যায়, কথামৃতে বর্ণিত এই ঘটনাটিতে। ব্রাহ্মসমাজে ভক্ত সঙ্গে সংকীর্তন শেষ করেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। সান্ধ্য উপাসনার কাল উত্তীর্ণ। বিজয়কৃষ্ণ চিন্তা করছেন, কীর্তনানন্দের মাধুর্যরসের পরে উপাসনা কি সময়োচিত হবে? ঠাকুর মৃদুহেসে বলছেন—তোমাদের ব্যবস্থা সবই উল্টো। পোলাও মিষ্টান্নের পরে শুক্তো। 
শ্রীরামকৃষ্ণের কীর্তন-গান সম্বন্ধে স্বামী সারদানন্দ লিখেছেন—সেই গায়ন-রীতিতে ওস্তাদি, কালোয়াতি ঢংঢাং কিছুই ছিল না, ছিল কেবল গীতোক্ত বিষয়ের ভাবটি সম্পূর্ণ আবিষ্ট হয়ে মর্মস্পর্শী মধুর স্বরে যথাযথ প্রকাশ এবং তাল-লয়ের বিশুদ্ধতা। ঠাকুরের গীত অত মধুর লাগবার আর একটি কারণ ছিল। গান গাইবার সময় তিনি গীতোক্তভাবে নিজে এত মুগ্ধ হতেন যে অপরের প্রীতির জন্য গান গাইছেন, একথা একেবারে ভুলে যেতেন। গান গাইতে গাইতে গীতোক্তভাবে দুই চক্ষুর জলে বক্ষ ভেসে যেত।
ঠাকুরের কাছে গান ছিল সাধনমার্গ। বলতেন, সমাধিতে অদ্বৈতবোধ অনুভব করে আবার নীচে নেমে ‘আমি’ বোধ নিয়ে থাকা যেন গানের অনুলোম-বিলোম। সা রে গা মা পা ধা নি সা করে সুর তুলে আবার সা নি ধা পা মা গা রে সা করে সুরে অবতরণ। কীর্তন গানের বৈশিষ্ট্য ও জনমানসে তার প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে শ্রীরামকৃষ্ণের ছিল প্রগাঢ় রসবোধ। কীর্তন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে নরেন্দ্রনাথ বললেন—‘কীর্তনে তাল সম এসব নাই—তাই অত Popular-লোকে ভালোবাসে।’ শুনেই ঠাকুর বললেন—‘সে কি বললি। করুণ বলে তাই অত লোক ভালোবাসে।’
শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে একটি গান আছে—‘এসেছে নতুন মানুষ দেখবি যদি আয় চলে।’ সত্যই এক নতুন মানুষ। সর্বশ্রেণির মানুষের প্রতি এমন প্রেম ভালোবাসা সত্যি বিরল। ত্যাগের প্রতিমূর্তি। জ্ঞানের মহিমায় উজ্জ্বল। কিন্তু বাইরে একটুকু প্রকাশ নেই। বেশভূষা অতি সাধারণ। ভাষা ছিল গ্রাম্য, অনেকক্ষেত্রেই অমার্জিত কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত। কোনও অভিমান বা উচ্চমান্যতা ছিল না। বিনা-আমন্ত্রণে যে কোনও মানুষের কাছে যেতেন, তাঁকেও আমন্ত্রণ করে আসতেন। পুঁথিকার অক্ষয়কুমার সেন বলেছেন—
‘সে বিদ্যা বল দাদা কিবা উপকার/ চালকলা দুটামাত্র শেষ ফল যার।।/ হৃদয়ে অবিদ্যা আনে যে বিদ্যা-অর্জনে।/ শিখিতে এমন বিদ্যা কহ কি কারণে।।’
শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন, যো সো করে ঈশ্বর লাভ করা জীবনের উদ্দেশ্য। আরও বলছেন—‘শুধু পাণ্ডিত্যে কি হবে? অনেক শ্লোক, অনেক শাস্ত্র, পণ্ডিতের জন্য থাকতে পারে, কিন্তু যার সংসারে আসক্তি আছে, বিবেক নেই, তার শাস্ত্র জ্ঞান হয় না, মিছে পড়া।’ এই আসক্তিকে ত্যাগ করতে হবে। তাই ঠাকুর বলছেন—যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে, তাঁর পাদপদ্মে একমাত্র ভক্তি প্রার্থনা করবে। বলছেন—ব্রজগোপীদের শুদ্ধা-ভক্তির কথা। মুক্তি চাই না; প্রার্থনা করছেন, কোনও একটি ভাবে আবিষ্ট হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ভক্তি রসে আবিষ্ট থাকেন। ঠাকুর বলছেন—‘আমি মার কাছে একমাত্র ভক্তি চেয়েছিলাম। মার পাদপদ্মে ফুল দিয়ে হাতজোড় করে বলেছিলাম, ‘মা, এই লও তোমার অজ্ঞান, এই লও তোমার জ্ঞান, আমায় শুদ্ধ-ভক্তি দাও। আবার বলছেন, এই নাও তোমার ভালো, এই নাও তোমার মন্দ। আমায় শুদ্ধা-ভক্তি দাও।’ শুদ্ধা-ভক্তিগত প্রাণ ভক্তকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন—‘যাঁরা অনন্য মনে চিন্তা ক’রে আমার উপাসনা করে আমাতে একনিষ্ঠ সেই ভক্তদের যোগ ও ক্ষেম আমি বহন ক’রে থাকি। যা তার নেই তা যোগ করি আর যা তার আছে তা রক্ষা করি।’
শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন—ধর্মের আচারসর্বস্ব, বাহ্যাড়ম্বর নয়, কলিযুগে ভক্তিযোগ। ঈশ্বরের গুণকীর্তন নিয়ে মেতে থাকা। পতিত, অবহেলিত মানুষকে শ্রীরামকৃষ্ণ কতভাবে উপদেশ দিচ্ছেন। আশীর্বাদ করছেন। কী অপার করুণা কৃপা! শ্রীমা সারদা বলছেন—‘এই জন্যই তো ঠাকুর এসেছিলেন।’...
বেদ, উপনিষদ এবং দর্শনের যুগে মানুষ ঈশ্বরের গুণ-কর্ম ও প্রকৃতি সম্বন্ধে যে সব অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল, পৌরাণিক যুগে সেই সবই স্পষ্ট আকার ধারণ করে অবতার বিশ্বাস রূপে প্রকাশিত হয়। এই অবতার-পুরুষগণের আবির্ভাবের কারণ নির্ণয় করে তাঁরা বলেছেন—পবিত্র, সংযমী, পূর্ণজ্ঞানে গুণান্বিত এইসব পুরুষ লোককল্যাণ সাধনে অবতীর্ণ হন। ধর্মের সংকটকালে, মানব মুক্তি ও পথের দিশারি রূপে তাঁদের আবির্ভাব। ঊনবিংশ শতাব্দীতে শ্রীরামচন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ যুগ্ম-অবতারের সম্মিলিতরূপে যুগ প্রয়োজনে অবতীর্ণ হলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এ যুগের মানুষকে নতুন করে ধর্মের স্বাদ আস্বাদন করালেন শ্রীরামকৃষ্ণ যুগদিশারি রূপে। আজ শ্রীরামকৃষ্ণের ১৯০তম জন্মতিথি উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য।
লেখক রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠের মুখপত্র ‘বিশ্ববাণী’-র সম্পাদক
10h 10m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিশেষ কোনও সুখবরে  মানসিক তৃপ্তি । ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক লেনদেনে সতর্ক হন।  ব্যবসায় বড় কোনও পরিবর্তন...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৩ টাকা৮৮.২৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৮ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৮৯.২৬ টাকা৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা