বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
বছরের শেষটা কলকাতায় থাকছেন?
হ্যাঁ, এখন কলকাতায় আছি কয়েকটা দিন। একটা হিন্দি কমার্শিয়াল ছবির শ্যুটিংয়ে প্রায় পুরো ডিসেম্বরটাই বিকানিরে ছিলাম। বড় স্টার কাস্ট। কিন্তু এখন এটা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। আবার জানুয়ারিতে যাব। শ্যুটিং না থাকলে আপাতত আমি কলকাতাতেই থাকছি।
নতুন বছর আসছে, নিজের জন্য কোনও লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করেছেন?
আগে করতাম। এখন কিছুই করি না। এখন মুহূর্তে বাঁচতে শিখে গিয়েছি। প্রতিটা মুহূর্ত এনজয় করতে হবে, এখন এটা বিশ্বাস করি। আগে এটা বলত সবাই। আমি বুঝতে পারতাম না। এখন বুঝতে পারি। তাই অতীতে বাঁচি না। ভবিষ্যৎ নিয়েও কোনও পরিকল্পনা করি না। এই মুহূর্তটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনটাই তো শেষ দিন হতে পারে। ফলে কোনও রেজোলিউশন নিই না।
বাবার হঠাৎ মৃত্যু... এই বছরটা ব্যক্তিগত জীবনে আপনার জন্য কঠিন ছিল...
হ্যাঁ। কলকাতায় এসেছি, বাড়িতে বাবা নেই, এই অনুভূতিটা একেবারে অন্যরকম। আসলে বাবা চলে যাওয়াতে অনেক কিছু বুঝেছি। এই ধরনের ঘটনা দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়। মৃত্যুকে তো গ্রহণ করে নিতেই হবে। মৃত্যুই একমাত্র সত্যি। সম্প্রতি আমার এক বন্ধুর বাবা মারা গিয়েছেন। ও বাড়িতে এসেছিল। খুব সুন্দর একটা কথা বলেছিল ও। রাইমা, দেখো, এখন অনেক মিরাকল হবে। বাবা শারীরিকভাবে তোমার পাশে নেই। কিন্তু উনি তোমার সঙ্গে কোথাও না কোথাও আছেন। এটা সত্যিই হয়েছে। ছোট ছোট কয়েকটা কাজ আটকে ছিল, সেগুলো সব হয়ে যাচ্ছে। আমাকে কোনও এফর্ট দিতে হচ্ছে না। সবটাই খুব পজিটিভভাবে দেখছি। বাবার চলে যাওয়াটা আমাকে বদলে দিয়েছে। পরিণত হয়েছি। অনেক মানুষের সম্পর্কে জাজমেন্টও বদলে গিয়েছে। বাবা এটাই বোধহয় শিখিয়ে গেল।
এই বছর আপনার একটাই বাংলা ছবি রিলিজ করেছে?
হ্যাঁ, ‘চালচিত্র’।
তাহলে তো খুবই স্পেশাল?
অবশ্যই। সকলের ভালো লাগছে শুনলাম। আমার দেখা হয়নি, এবার দেখে নেব।
পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তর সঙ্গে আপনার প্রথম কাজ?
হ্যাঁ, ওকে অনেক আগে থেকেই চিনতাম। আমি তখন লন্ডনে ‘হাওয়া বদল’-এর শ্যুটিং করছিলাম। সেসময় প্রতীম ফোন করেছিল। ওর সঙ্গে কাজ করে আমার ভালো লেগেছে।
আপনার কেন্দ্রীয় চরিত্র নয়, তাও রাজি হলেন কি গল্পের টানে?
আমি ওসব ভাবি না। গল্পটা ভালো হলে আর কিছু প্রয়োজন হয় না। আজকাল তো অনেক অন্য রকমের কাজ হচ্ছে। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। প্রতীম আমাকে ভালো চরিত্রই দেবে, এই বিশ্বাসটা ছিল।
বাংলায় এত কম কাজ করছেন কেন? অফার কম?
আমি সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি। কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে এখন ভাবি, একেবারে নতুন কিছু না হলে করব না। কাজ না করলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু নিজেকে রিপিট করতে চাই না। তাতে কোনও লাভ নেই।
কাজের বাইরে কীভাবে সময় কাটে?
মা আছে। প্রিয়জনেরা আছে। ওদের সঙ্গে সময় কাটাই। তাছাড়া ক্লাবে যাই, টেনিস খেলি। অনেক বই পড়ি। মুম্বইতে চার, পাঁচদিনের অভিনয়ের ওয়ার্কশপ করতে চলে যাই মাঝে মাঝে। ব্যস্ততায় কেটে যায় (হাসি)।