পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এর আগেও বাংলায় বেশকিছু রিয়েলিটি শোয়ে বিচারকের দায়িত্ব সামলেছেন কবিতা। আবার বাংলা থেকে ডাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত গায়িকার বক্তব্য, ‘কলকাতার সঙ্গে তো আর আজকের সম্পর্ক নয়। দেখতে দেখতে এতগুলো বছর কেটে গেল। হেমন্তদা, মান্নাদা, সলিলদা, পঞ্চমদার সঙ্গে কাজ করেছি। আমাকে যে কাকিমা মানুষ করেছেন, তিনি একজন বাঙালি। তাই কলকাতায় কোনও কাজ করতে পারলে আমার একটা আলাদা রকমের ভালোলাগা কাজ করে।’ বাংলার শ্রোতা বা প্রতিভাদের নিয়েও কবিতা বেশ আশাবাদী। তাঁর কথায়, ‘বাংলার মানুষ তো সঙ্গীত ও সংস্কৃতির কদর করতে জানেন।’
একাধিক রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক বা মেন্টরের ভূমিকায় দর্শক কবিতাকে দেখেছেন। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে এখন রিয়েলিটি শোয়ের মধ্যে কোনও পরিবর্তন কি তাঁর চোখে পড়ে? ‘আসলে চার-পাঁচ বছর আগে আমি শোয়ের সব এপিসোডে বিচারক হতাম। এখন তো অনেক কমিয়েছি। অনেকদিন পর এই শোয়ে আবার পুরোদমে দর্শকরা আমাকে পাবেন। তাই কতটা কী বদলেছে সেটা এবারে হয়তো বুঝতে পারব’, মন্তব্য কবিতার। তবে নতুন প্রতিভাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিন্তু বেশ চিন্তিত মনে হল তাঁকে। তাঁর কথায়, ‘রিয়েলিটি শো একজন নতুন শিল্পীকে রীতিমতো তৈরি করে দেয়। কিন্তু তারপরে অনেকেই হয়তো ভালো সুযোগ পান না বা সঙ্গীতকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করাটা অনেকের কাছে কঠিন হয়ে ওঠে। এটা আমাকে ভাবায়।’ তাই কবিতা মনে মনে একটা সুপ্ত আশা লালন করে চলেছেন। রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা ভালো গায়কদের সারা জীবন গান গাওয়ার জন্য কোনও মঞ্চ থাকলে তিনি আরও খুশি হবেন বলে জানালেন। সেইসঙ্গে নতুনদের জন্য তাঁর পরামর্শ ‘সবসময় মনে রাখতে হবে শর্টকাটে হয়তো প্রচার পাওয়া যায় কিন্তু শিল্পী হওয়া যায় না।’ ‘সুপার সিঙ্গার’ থেকে তাঁর প্রত্যাশা কীরকম? বললেন, ‘বাংলায় তো প্রতিভার অভাব নেই। শুনেছি অডিশনের মাধ্যমে অসাধারণ কিছু প্রতিযোগীদের বেছে নেওয়া হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে একটা ভালো সময় কাটানোর অপেক্ষায় রয়েছি।’