মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
সহজ প্লট যা বছরের পর পর ভারতীয় দর্শকের পরিচিত এখানেও ঠিক সেটাই রয়েছে— পরকীয়া। মধ্যবিত্ত পরিবারের চিন্টু ওরফে অভিনব ত্যাগী (কার্তিক আরিয়ান) কানপুরের সরকারি চাকুরে। তার স্ত্রী বেদিকা (ভূমি পেডনেকর) পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা। সব ভালোই চলছিল যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের জীবনে প্রবেশ করে দিল্লির মেয়ে তপস্যা (অনন্যা পাণ্ডে)। কানপুরে তার বুটিকের ব্যবসার জমি খোঁজার ভার পরে চিন্টুর উপর। ব্যস, একঘেয়ে জীবনে একটু শীতল হাওয়ার সন্ধান পায় চিন্টু। ভালোবাসা নয়— মধ্যবিত্ত ভারতীয় পুরুষের সেই পরিচিত ফ্যান্টাসি। স্ত্রীকে লুকিয়ে একটু আলাদা করে অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটানো। ফলে আপাত সুখের খোঁজে মিথ্যার উপর মিথ্যার স্তর জমতে থাকে, জটিল হতে শুরু করে সম্পর্ক।
আত্মবিশ্বাসের অভাব ও মৌলিক হাসি নিয়ে মফস্সলের চিন্টু হিসেবে কার্তিককে বেশ লেগেছে। তাঁর কমিক টাইমিংও দর্শকের পছন্দ হবে। ভূমি যে কোনও চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন সেটাই যেন আরও একবার এই ছবিতে প্রমাণ করলেন। ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২’ এর পর এই ছবিতে অনন্যা অনেক বেশি পরিণত। তবে এখনও সংলাপ বলা ও অভিনয়ের দিকে তাঁকে মন দিতে হবে। চিন্টুর বন্ধু ফাহিমের চরিত্রে অপারশক্তির সাবলীল অভিনয় ভালো লাগে। চিত্রনাট্যের বেশিরভাগ হাসির সংলাপ তাঁরই মুখে।
তবে বলতেই হয় কোনও কোনও জায়গায় ছবির সম্পাদনা আরও নিখুঁত হতে পারত। বেশকিছু দৃশ্যের ক্ষেত্রে আরও যত্নের প্রয়োজন ছিল। এই ধরনের ছবির মধ্যে অহেতুক গানের উপস্থিতি নেই দেখে ভালো লাগল। ছবির শেষে বেশকিছু চমকও রেখেছেন পরিচালক। তাই সিক্যুয়েলও হতে পারে কি? উত্তরের আশায় থাকবেন অনেকেই। সব মিলিয়ে সপ্তাহের শেষের অবসরে দু ঘণ্টার বিনোদন হয়ে উঠতে পারে এই ছবি।