মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এটিএম কার্ড বদল করে এক পুলিস কনস্টেবলের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রৌঢ় ওই কনস্টেবল ইংলিশবাজার শহরের কোঠাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি মালদহ পুলিস লাইনে কর্মরত। সম্প্রতি মাসিক বেতনের টাকা ঢুকেছিল তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা এটিমের মাধ্যমে তোলার জন্য হাবিবুর সাহেব গিয়েছিলেন ইংলিশবাজার থানার অনতিদূরে কৃষ্ণজীবন সান্যাল রোডের একটি নার্সিংহোমের নিচে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে। এটিএম ব্যবহারের খুব একটা সড়গড় না থাকায় তাঁর টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর দুর্বলতা বুঝতে পেরে এগিয়ে আসে ওই এটিএমে কর্মরত বেসরকারি সংস্থা দ্বারা নিযুক্ত রক্ষী শ্যামল। হাবিবুর রহমানকে সাহায্য করার নাম করে প্রথমে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী টাকা তুলে দেয় শ্যামল। কিন্তু কার্ড ফেরত দেওয়ার সময় নিমেষে ওই পুলিস কনস্টেবলের এটিএম কার্ডটি হস্তগত করে তার পরিবর্তে অন্য একটি অচল কার্ড তাঁকে ধরিয়ে দেয় ওই রক্ষী।
সরল বিশ্বাসে বাড়ি ফিরে গিয়ে হাবিবুর সাহেব জানতে পারেন তাঁরই এটিএম ব্যবহার করে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার টাকা। প্রাথমিকভাবে ঘাবড়ে গেলেও ওই পুলিস কনস্টেবল ঘটনার কথা প্রথমে জানান তাঁর সহকর্মীদের। পরে তাঁদেরই পরামর্শে তিনি বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিস। শ্যামল সরকার নামে ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, এটিএম রক্ষী হিসাবে প্রায় ছয় বছর কাজ করার সুবাদে এটিএম ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় নখদর্পণে রয়েছে তার। ফলে বয়স্ক ওই পুলিস কনস্টেবলকে প্রতারিত করার ক্ষেত্রে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাকে।
পুলিস জানতে পেরেছে, মালদহের খেজুরিয়াঘাট এলাকার একটি এটিএম থেকে ওই পুলিস কনস্টেবলের টাকা তুলে নিয়েছিল ওই এটিএম রক্ষী। তাকে জেরা করে কনস্টেবলের আসল এটিএম কার্ড ও খোয়া যাওয়া টাকার পুরোটাই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিস আধিকারিকরা। ধৃতকে শুক্রবার মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়। এই ধরণের ঘটনা ওই এটিএম রক্ষী আগেও ঘটিয়েছে কি না, এবং তার সঙ্গে এটিএম প্রতারণা চক্রের কোনও যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।