মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
গত ২৮ নভেম্বর হায়দরাবাদের শাদনগরে উদ্ধার হয় তরুণী পশু চিকিৎসকের পুড়ে যাওয়া দেহ। শামসাবাদের টোল প্লাজার কাছে স্কুটারের পাংচার সারিয়ে দেওয়ার অছিলায় ডেকে তাঁকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলু (২০) নামে চার ট্রাককর্মীকে গ্রেপ্তার করে সাইবারাবাদ পুলিস। ঘটনায় নৃশংসতায় গর্জে উঠেছিল আসমুদ্রহিমাচল। বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিল অভিযুক্ত চারজন। গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলার জন্য ফাস্ট ট্রাক কোর্টও গঠিত হয়েছিল।
এদিন ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখতে শাদনগরের চতনপল্লিতে একটি ব্রিজের কাছে সেই নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় চারজনকে। কমিশনার সজ্জনার জানিয়েছেন, দু’জন অভিযুক্ত তদন্ত বিপথে চালনার চেষ্টা করছিল। মুহূর্তের অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে তারা পুলিসকর্মীদের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। লাঠি- পাথর নিয়ে পুলিসকে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করে। বারবার আত্মসমর্পণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও তারা সেকথা কানে তোলেনি। বরং তাদের আক্রমণে দুই পুলিসকর্মী আহত হন। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিস। তাতেই মৃত্যু হয় চারজনের। ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে এই এনকাউন্টার। যদিও আহত পুলিসকর্মীদের কারও গায়েই গুলি লাগেনি। তাঁদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কমিশনার সজ্জনার সহ অন্যান্য শীর্ষ পুলিস কর্তারা। অভিযুক্তদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় মেহবুবনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় বিপুল জনতা। ভিড় থেকেই পুলিসের নামে জয়ধ্বনি ওঠে। কেউ কেউ পুষ্পবৃষ্টিও করেন। টিভি চ্যানেলে এই খবর জানায় পর শোকের মধ্যেও সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছে তরুণীর পরিবার। পুলিস ও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘ওরা যে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে, তা আমরা টিভি দেখে জেনেছি। আমরা খুব খুশি। সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছেন। এনকাউন্টারের জন্য তেলেঙ্গানা সরকার ও পুলিসকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের পাশে থাকা প্রত্যেককে ধন্যবাদ।’ নির্যাতিতার বোন জানিয়েছেন, ‘আমরা খুশি। এটা সত্যিই আশা করিনি। ভেবেছিলাম আদালত ওদের ফাঁসিতে ঝোলাবে। এই ঘটনার পর এমন অপরাধ করার আগে মানুষ দু’বার ভাববে।’ একই কথা শোনা গিয়েছে হায়দরাবাদের বাসিন্দাদের মুখে।