মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লখনউ থেকে বিমানে দিল্লি উড়িয়ে আনা হয়েছিল ওই তরুণীকে। এরপর দিল্লি ট্রাফিক পুলিস ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে খুবই কম সময়ে অ্যাম্বুলেন্সকে সফদরজং হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। এরপর শুক্রবার সকালে সফদরজং হাসপাতালের সুপার সুনীল গুপ্তা বলেছিলেন, ‘আমরা ওই তরুণীর জন্য আলাদা আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করেছি। চিকিৎসকদের একটি টিম প্রতিনিয়ত তাঁর উপর নজর রাখছে।’ তবে, চিকিত্সকদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। ঘটনাটিকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মামলার শুনানি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আজ সকালে লখনউতে বিধানসভা ভবনের বাইরে ধর্নায় বসেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মুখ্যসচিব ও পুলিসের ডিজির পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে, উন্নাও-র উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উন্নাও-র নির্যাতিতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘নৃশংসতার কোনও সীমারেখা নেই’।
এই তদন্তে একটি স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে দিয়েছেন লখনউয়ের বিভাগীয় কমিশনার মুকেশ মেশরাম। গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলায় ওই তরুণীকে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে পাঁচ জন। তরুণীর অভিযোগ, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে তিনি গতবছর গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় অভিযুক্তদের জেলও হয়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে প্রতিশোধ নিতেই তাঁর উপর হামলা চালায় দুই অভিযুক্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। এদিন সিট গঠনের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে বিভাগীয় পুলিস কমিশনার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি উন্নাও গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। ঘটনার তদন্তে উন্নাওয়ের এএসপি বিনোদ পাণ্ডের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের দল গঠিত হয়েছে। মামলার সবদিক খতিয়ে দেখে সিট আমাকে রিপোর্ট জমা দেবে।’ তবে, ঠিক কতদিনের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। শুধু জানান, খুব শীঘ্রই রিপোর্ট হাতে আসবে এবং তৎক্ষণাত্ তিনি তা সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।