মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়ারঙ্গল জেলার পুলিস সুপার ছিলেন সজ্জনার। ২০০৮ সালে সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দুই পড়ুয়ার উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে। হায়দরাবাদে চিকিৎসা চলার সময় মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার। সারা দেশে সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের সন্ধানে হন্যে হয়ে নামে পুলিস। ঘটনায় ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি বাজেয়াপ্ত করতে গিয়ে পুলিস অভিযুক্তদের আক্রমণের সামনে পড়ে। পুলিসের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় তিন অভিযুক্তের। একেবারে শুক্রবারের ঘটনারই হুবহু চিত্রনাট্য। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়ারঙ্গলের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী অমরনাথ শুক্রবার বলেন, ‘২০০৮ সালে দুই পড়ুয়ার উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনায় আমরা ব্যথিত হয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেই তিন অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যুতে আমরা স্বস্তি পাই।’
এই ঘটনার পাশাপশি একাধিক সফল এনকাউন্টারের পরে ১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সজ্জনার পুলিস মহলে এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ বলে পরিচিত হয়ে ওঠেন। মাওবাদী নেতা নৈমুদ্দিনকেও খতম করার কৃতিত্বও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সে সময় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখার (এসআইবি) আইজি ছিলেন তিনি। এদিকে, এনকাউন্টারের ঘটনায় হায়দরাবাদ পুলিসের পাশেই দাঁড়িয়েছেন দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) সঞ্জীব কুমার যাদব। এনিয়ে তাঁর ট্যুইট, ‘অভিনন্দন হায়দরাবাদ পুলিস।’ এনকাউন্টারকে সমর্থন করেছেন বেঙ্গালুরুর পুলিস প্রধান ভাস্কর রাও। তাঁর কথায়, ‘তদন্তের প্রয়োজনে অপরাধের ঘটনার পুননির্মাণের সময় চার অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করেছিল। তাই পুলিসকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এনকাউন্টারের প্রয়োজন নিয়ে দ্বিতীয় কোনও মত থাকা উচিত নয়। পুলিস ঠিক কাজই করেছে।’
অপরদিকে, দাদার কাজকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ভি সি সজ্জনারের ভাই এম সি সজ্জনারও। এনকাউন্টার নিয়ে নানা মহলের সমালোচনার প্রেক্ষিতে এম সি বলেন, আমরা ওঁর জন্য গর্বিত। তাঁর কথায়, ‘আজকের এনকাউন্টার নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমি কেবল এটুকু বলতে চাই, তিনি একজন সৎ এবং দক্ষ পুলিস আধিকারিক। তিনি কেবল তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন। আমরা তাঁর জন্য গর্বিত।’
পড়াশোনায় বরাবরই নজরকাড়া ফল করেছেন সজ্জনার। কর্ণাটকের নামকরা লায়ন্স ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে পাশ করার পরে জগৎগুরু গঙ্গাধর কলেজ অব কমার্স থেকে বাণিজ্যবিদ্যায় স্নাতক হন তিনি। ওই কলেজ থেকেই তিনি এমবিএ পাশ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হন।