মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই এনিয়ে উত্তরপাড়া থানা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কার্যত হতবুদ্ধি ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এখনও ভেবে কূল পাচ্ছেন না। কিংশুকবাবু বলেন, আমি কোনও ভুয়ো কল পাইনি। এধরনের কল বিষয়ক সতর্কতা আমার আছে। তারপরেও নিজে টাকা কীভাবে অন্যত্র চলে যেতে পারে, তাও আবার বেজিংয়ে, তা আমি ভেবে পাচ্ছি না। বস্তুত, রাতে যখন ব্যাঙ্ক থেকে ফোন আসে তখন আমি অবাকই হয়েছিলাম। দ্রুত হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে কার্ড ব্লক না করলে আরও কত টাকা চলে যেত জানি না। তিনি বলেন, আমাদের অনেক কষ্টের উপার্জন কোথায় নিরাপদ বুঝতে পারছি না। উত্তরপাড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম শাখাকে জানানো হয়েছে। তেমন কোনও সূত্র না পেলেও ঘটনার সঙ্গে অনলাইন কেনাকাটার কোনও যোগ আছে কি না সাইবার বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন।
পুলিস ও কিংশুকবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিংশুকবাবু একটি বহুজাতিক ব্যাঙ্কের গ্রাহক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় তিনি ভিনদেশে কোনও লেনদেন করছেন কি না। ঘুম ভেঙে জেগে উঠে তিনি কার্যত অবাকই হয়ে যান এবং জানান তেমন কিছু তিনি করেননি। তখনই ব্যাঙ্ক তাঁকে জানায় যে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে বেজিংয়ে লেনদেন হচ্ছে। ব্যাঙ্কের পরামর্শে তিনি দ্রুত তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্যে উদ্যোগ নেন। ততক্ষণে দু’দফায় ২৭ ও ১৩ হাজার টাকা লেনদেন হয়ে গিয়েছে। ওই পরিবারের দাবি, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে একবারই ব্যবহারযোগ্য পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দেওয়া হয়। তা ব্যবহার না করলে লেনদেন সাধারণত হয় না। কিংশুকবাবুর ক্ষেত্রে তেমন কিছুও হয়নি। তারপরেও অপরিচিত অ্যাকাউন্টে টাকা কীভাবে চলে গেল তা নিয়ে ঘোর কাটছে না ওই পরিবারের। যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদেশে লেনদেনের ক্ষেত্রে ওটিপি দেওয়া হয় না। ফলে জেনে বুঝেই দুষ্কৃতীরা আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়েছে তা পরিষ্কার। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি সাইবার বিশেষজ্ঞদের নজরে এনেছে স্থানীয় থানার পুলিস। সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, অনলাইন কেনাকাটার অভ্যেস থেকে কখনও কখনও এই জাতীয় ঘটনা ঘটতে পারে। এজাতীয় কেনাকাটায় যেসব সতর্কতা জরুরি তার মধ্যে অন্যতম সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য মজুত করে না রাখা। অনেকেই কাজের দ্রুততার জন্যে তা করে রাখেন। কিংশুকবাবুর দাবি, তিনি অনলাইন কেনাকাটা করলেও তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদার হিসাবে বিষয়টি জানেন। তাই তাঁর কোনও তথ্য মজুত করা ছিল না।