মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলায় স্ক্র্যাব টাইফাস নিয়ে এক মাস ধরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই রোগে এক স্কুলছাত্রী সহ চারজন মারা গিয়েছেন। স্ক্র্যাব টাইফাস সম্পর্কে অনেকের ধারণা না থাকায় চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করছে। কেউ কেউ আবার সাধারণ জ্বর ভেবে প্রথম দিকে হাসপাতালেও যাচ্ছে না। তার ফল সাংঘাতিক হচ্ছে বলে চিকিৎসকদের দাবি। জ্বর হলেই যাতে সকলে হাসপাতালে যায়, তার জন্য কন্যাশ্রীর মেয়েরা বুঝিয়ে বলবে। ডেঙ্গু সম্পর্কেও তারা সচেতন করবে। এই সমস্ত রোগ থেকে মুক্তির উপায় হল পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। সূতি-২ এর বিডিও বলেন, নোংরা আর্বজনা বাড়িতে বা অন্য কোথাও জমিয়ে রাখলে নানা ধরনের রোগ হতে পারে। তা নিয়ে সরকার প্রচার চালাচ্ছে। এবার থেকে কন্যাশ্রীর মেয়েরাও এই অভিযানে শামিল হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বছরগুলিতে এই সময় ডেঙ্গু নিয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এবার স্ক্র্যাব টাইফাস আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ ধরনের পোকার আক্রমণে জেলার অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে এই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। জ্বর হলে দেখা যায় অনেকেই নিজেদের ইচ্ছেমতো ওষুধ খেয়ে বাড়িতে থেকে যাচ্ছে। রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না। তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হচ্ছে।
স্ক্র্যাব টাইফাস রোগ নিয়ে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরও প্রচার শুরু করেছে। দপ্তরের কর্তাদের দাবি, মাঠ থেকে ফিরে এসে জামাকাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে। কারণ, এ ধরনের পোকা জামা বা অন্যান্য পোশাকের মধ্যে ডেরা বেঁধে থাকে। তাছাড়া শরীরের বেশ কিছু অঙ্গেও তারা আশ্রয় নেয়। তাই মাঠ বা ঝোপে কাজ করার পর ভালোভাবে স্নান করা উচিত। বিশেষ এই ধরনের পোকার আক্রমণে মুর্শিদাবাদের পাশের জেলা বীরভূমেও অনেকেই আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন। তবে তাঁরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা করায় সুস্থ রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে স্ক্র্যাব টাইফাসে প্রথম মারা যান ডাঙাপাড়ার এক ব্যক্তি। তারপরে অমৃতকুণ্ডর অন্য আরেকজন মারা যান। বৃহস্পতিবার জেলায় আরও দু’জন মারা গিয়েছেন। সেকারণে জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাই এবার এই রোগ মোকাবিলায় পথে নামছে কন্যাশ্রীর মেয়েরা।