মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জন সিং নামে ওই যুবক আঁধারি এমবিএস হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণীতে গত বছর অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। রঞ্জনের বাড়ি সাঁকরাইল থানার গড়ধরা এলাকায়। বৃহস্পতি ও রবিবার ওই এলাকায় হাট বসে। এদিন বিকেলে রঞ্জন তাঁর বাবা কালীপদ সিংয়ের সঙ্গে গড়ধরা হাটে বেগুন বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। তারপর রঞ্জন সাইকেল সারানোর জন্য গড়ধরা বাজার এলাকায় একটি সাইকেল দোকানে গিয়েছিলেন। রাস্তার ধারে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় হঠাৎ পিছন দিক থেকে আসা বালিবোঝাই একটি ডাম্পার বেপরোয়াভাবে এসে রঞ্জনকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই রঞ্জনের মাথা একেবারে থেঁতলে যায়। সেখানেই তিনি মারা যান। ঘটনার পরই হাটে থাকা লোকজন ছুটে আসে। এদিকে ঘাতক বালিবোঝাই লরিটি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে চালক ও খালাসি দু’জনেই পালিয়ে যায়। ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। রগড়া-রোহিনী রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিস এলে পুলিসকে লক্ষ্য করে জনতা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ক্ষুব্ধ কিছু বাসিন্দা ভিলেজ পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াদের মারধর করে। মারধরে চারজন জখম হন। একজনের হাত ভেঙে যায়। প্রাণের ভয়ে ভিলেজ পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা লুকিয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এরপরই ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা একটি ডাম্পার সহ চারটি বালির গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর মধ্যে দু’টি গাড়িতে বালিবোঝাই ছিল। এছাড়াও প্রায় ১২টি লরি ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার ওসি হাসানুরুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। তখনও গাড়িগুলিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঝাড়গ্রাম থেকে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল এলাকায় গড়ধরা ও নেপুরা এলাকায় বালি খাদান রয়েছে। এদিন নেপুরা খাদান থেকে বালি বোঝাই করে গাড়িটি রোহিনীর দিকে যাচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বালির লরিগুলি বেপরোভাবে রাস্তায় চলাচল করে। স্কুলের সময়ে বালির লরি চলাচলের ফলে পড়ুয়ারা খুবই সমস্যায় পড়ে। নেপুরা থেকে গড়ধরা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে সব সময়ই লরি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে, যানজট যেমন হয়, তেমনই প্রাণ হাতে করে ওই রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়। পুলিস সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন, এদিন দুর্ঘটনার পর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিসকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।