মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
গোটা রাজ্যের সঙ্গে কাটোয়া শহরেও সমস্ত খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ১২০-১৫০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকারের সুফল বাংলা স্টলে চলতি সপ্তাহে ৫৯টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা হলেও সস্তায় পেঁয়াজ কিনতে এদিন সকাল থেকেই বাসিন্দাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সকাল আটটার পর থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত আবার বিকেল ৩টের পর থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত পেঁয়াজ কেনার জন্য দীর্ঘ লাইন ছিল। তবে কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের মাথাপিছু ৫০০গ্রাম করেই পেঁয়াজ দিয়েছে। এব্যাপারে স্টলের বিক্রেতা উত্তম চৌধুরী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজ কেনার জন্য স্টলে ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে। সকাল থেকেই বাসিন্দারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। আমরাও হিমশিম খেয়েছি। তবে আমরা নাসিকের পেঁয়াজ ৫৯টাকা কেজি দরে প্রত্যেককে ৫০০গ্রাম করে দিচ্ছি।
দু’মাস ধরে রাজ্যেজুড়ে পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী। ২০টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ ৫০-৬০টাকা থেকে এখন ১৫০টাকা ছাড়িয়েছে। আর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ৯০-১০০টাকা ছাড়িয়েছে। যতদিন যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম তত বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার সস্তায় সুফল বাংলা স্টলগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে নাসিকের পেঁয়াজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সেখান থেকেও আমদানি কম। বাজারে জোগান কম থাকায় পেঁয়াজের দাম মাত্রা ছাড়িয়েছে। আমাদের রাজ্যের জেলাগুলিতে চৈত্র মাসে পেঁয়াজ জমি থেকে ওঠে। তারপর কয়েকমাস চাহিদা পূরণ করার পর আবার আমাদের নাসিকের পেঁয়াজ আমদানির উপরেই ভরসা রাখতে হয়। তবে এবার পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে নেমে যাবে বলেই ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
কাটোয়ার বাসিন্দা সুরজ হালদার, মালতি প্রধান, বিজয় দত্ত বলেন, বাজারে ১৪০টাকা দরে পেঁয়াজ কী করে কিনব বলুন। তাই সুফল বাংলা স্টলে এসেছি। এদিকে কাটোয়ার স্টেশন বাজারে এদিন পেঁয়াজ ১২০-১৩০টাকা ছিল। নিচুবাজারেও ১৪০টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সুফল বাংলা স্টলে পেঁয়াজ কেনার জন্য বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। শহরের বেশ কিছু চপ-মুড়ির দোকানে পেঁয়াজের বদলে মুলো দেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতাদের বক্তব্য, ৫টাকা দামের তেলেভাজায় ১৫০টাকার পেঁয়াজ দেব কীভাবে, আমাদের লাভ আর কী থাকবে।