মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার যে বিধানসভা ভবন পরিদর্শনে গিয়ে ধনকার বেজায় বিড়ম্বনার মুখে পড়েছিলেন, এদিন সকালে সস্ত্রীক আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি এই আহ্বান জানান। এদিন অবশ্য বিধানসভা ভবনে তাঁর কনভয় প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট ফটক খুলে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মন্ত্রী বা সরকারপক্ষের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পূর্ব নির্ধারিত সূচির জন্য ব্যস্ত থাকায় এদিনও তাঁকে স্বাগত জানাতে আসেননি। তবে অধ্যক্ষের নির্দেশে এদিন বিধানসভার যুগ্মসচিব পার্থ বিশ্বাস এবং মার্শাল দেবব্রত মজুমদার রাজ্যপাল ও তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনকারকে গাড়ির দরজা খুলে স্বাগত জানান। কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের জন্য অধ্যক্ষ এদিন না থাকার কথা আগাম চিঠি লিখে তাঁকে জানিয়ে দেওয়ায় ধনকার এদিন কোনও ক্ষোভ ব্যক্ত করেননি। বরং এদিন তিনি অধ্যক্ষের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি প্রথমে সংবাদমাধ্যমের কাছে আম্বেদকরকে দেশের মহান সন্তান বলে বর্ণনা করেন। একইসঙ্গে এবার ৩৭০ ধারা বাতিল করে তাঁর প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এরপরই রাজ্যপাল বলেন, আমি এই বিশেষ দিবসে মিডিয়ার মাধ্যমে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে একটি বার্তা দিতে চাই। আমি চাই, উনি যে কোনও ব্যাপারে আমার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনায় বসুন। এটা সকলকে মনে রাখতে হবে যে, আমরা কেউই সংবিধানের সীমা লঙ্ঘন করতে পারি না। কোনও সমস্যা তৈরি হলে আলোচনার মাধ্যমেই তার সমাধান খোঁজার বার্তা সংবিধানেই রয়েছে। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসার জন্য খোলা আহ্বান জানাচ্ছি। রাজভবন, নবান্ন, এমনকী ওঁর বাড়ি সহ ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার যেখানে, যখন বলবেন, আমি সেখানেই হাজির হতে পারব। তবে এর আগেও আমি বিভিন্ন বিষয়ে এই প্রস্তাব দিয়ে ওঁকে একাধিকবার চিঠি লিখেছি। দুর্ভাগ্যবশত, ওঁর তরফে কোনও সাড়া পাইনি। আমি আশা করব, আমার এই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দেবেন। মিডিয়াও শীঘ্রই আমাদের দু’জনকে পাশাপাশি দাঁড়ানো অবস্থায় ছবি তুলতে পারবে।
লক্ষণীয়ভাবে এদিন রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমের আর কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। একদিন আগে পর্যন্ত যিনি রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কার্যত রণংদেহি মনোভাব দেখিয়েছেন, হঠাৎ তিনি কোনও বাড়তি কথা না বলে এভাবে মুখোমুখি আলোচনায় বসার খোলা আহ্বান জানানোয় এনিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছে, সরকারের সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা কিছুটা কমাতে দিল্লি থেকে কোনও বার্তা পাওয়ায় তিনি সুর নরমের ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্য অংশের ধারণা, মুখ্যমন্ত্রী এই আহ্বানে সাড়া দেবেন না ধরে নিয়ে আগামীদিনে সংঘাত আরও বাড়ানোর জন্য এভাবে ফাঁদ পাতার কৌশল নিলেন।