মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
উন্নাওয়ে ধর্ষণের অভিযুক্তরা জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর প্রকাশ্যে রাস্তায় নিগৃহীতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার মতো ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই হায়দরাবাদের মহিলা পশুচিকিৎসককে ধর্ষণের চার অভিযুক্তকে আজ সকালে পুলিসের এনকাউন্টারে খতম করার ঘটনায় দেশ উত্তাল। এমপিদের চাহিদা মেনে আজ সব দলকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন স্পিকার। সেই মতো কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানোর মধ্যেই সভায় কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
একইসঙ্গে তিনি আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন উল্লেখ করে মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়ে রাম মন্দির প্রসঙ্গ তুলতেই প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। অধীরবাবু বলেন, যেখানে পুরুষোত্তম রামের মন্দির তৈরি হচ্ছে, সেখানে আজ দেশে সীতা মাকে জ্বালানো হচ্ছে! এ কী হচ্ছে? ধর্ষকদের এত সাহস কোথা থেকে আসে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরকার কোনও জবাব না দেওয়ায় প্রতীকী ওয়াক আউটও করে কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষে সৌগত রায় ধর্ষকদের কড়া শাস্তির দাবি করেন। বাকি দলের এমপিরাও কমবেশি একই সুরে নিজেদের বক্তব্য রাখেন।
কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় বিজেপির সুখবীর সিং জৌনাপুরিয়া রাজস্থানের এক ধর্ষণের ঘটনায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করার পরেই। ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও ভোট ছিল বলে সরকার তা চেপে রেখেছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, যেখানেই কংগ্রেস সরকার রয়েছে, সেখানেই এরকম হয়। একথা শোনা মাত্রই পাল্টা আক্রমণে নামে কংগ্রেস। দলের মুখ্য সচেতক কে সুরেশ প্রতিবাদে সরব হন। বলেন, ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে কেন? বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে যায় সরকার এবং বিরোধীদের কথা কাটাকাটি।
স্মৃতি ইরানি কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, কংগ্রেস এমপিরা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন। উন্নাও, হায়দরাবাদের ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা সরব হলেও পশ্চিমবঙ্গের মালদা নিয়ে কেন চুপ তৃণমূল? তখনই সৌগত রায়ের সঙ্গে বিবাদ চরমে ওঠে। এমত পরিস্থিতে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নিজেদের আসন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কংগ্রেসের টি এন প্রতাপন এবং ডি কুরিয়াকোস। স্মৃতিও তাঁদের পাল্টা জবাব দেন। দু’ পক্ষের মধ্যে প্রবল বিতর্ক বেঁধে যায়।
কংগ্রেসের দুই এমপিকে সামাল দিতে দৌড়ন সৌগত রায়, সুপ্রিয়া সুলে। দৌড়ে গিয়ে স্মৃতিকে সামলান সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি, অর্জুন রাম মেঘওয়ালের মতো মন্ত্রীরা। বিজেপির মহিলা এমপিরা সরব হন, কেন এভাবে একজন মহিলাকে (স্মৃতি ইরানি) মারতে উদ্যত হবেন কংগ্রেসের দুই এমপি? তাঁদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। স্পিকার ওম বিড়লা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিজেপির মহিলা এমপিরা স্মৃতির হয়ে সওয়াল জিইয়ে রাখেন। দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।