মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিনের সভায় বাম নেতারা বলেন, পাকিস্তান ও কাশ্মীরের নাম করে যাবতীয় অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে লাটে তোলার জন্য পাকিস্তান দায়ী? নাকি দেড়শো টাকা কেজি পেঁয়াজের দাম হওয়ার কারণ কাশ্মীর ইস্যু? দেশের আর্থিক বেহাল দশা বা বেকারি বৃদ্ধির জন্য কারা আসল অপরাধী? আসলে এসব থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই মোদি-শাহরা এনআরসি বা সিএবি’র মতো ইস্যু এনে মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছেন। মানুষ যাতে এসবের জন্য নথি সংগ্রহের কাজে ছুটোছুটি করতে ব্যস্ত থাকে, সেটাই ওঁরা চান। আমাদের তাই কোনওভাবেই ভয় পেলে চলবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বলতে হবে, একজনও বঙ্গবাসীকে রাজ্য থেকে তাড়ানো চলবে না। ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির চেষ্টা হলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। এই কাজে বামপন্থীরা আগেও অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। এবারও দেবে। এজন্য যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে তৈরি আমরা।
এনআরসি-সিএবি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকেও এদিন এক হাত নেন বাম নেতারা। তাঁরা বলেন, উনি মুখে এসবের বিরোধিতা করার কথা বলছেন। কিন্তু ২০০৫ সালে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীর সমস্যার ইস্যু উনিই প্রথম সংসদে তুলে সংখ্যালঘু মানুষকে বিপদে ফেলেন। আগামী এপ্রিল থেকে রাজ্যেও এনপিআর চালু হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপন দিয়ে বোঝাচ্ছেন, এনপিআর হল জনগণনার অঙ্গ। অথচ আইনই বলছে যে এনপিআর হল এনআরসি’র প্রথম ধাপ। এভাবে বকলমে বাংলায় এনআরসি চালুর পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের মদতেই।