মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
বিধানসভার ইতিহাসে শুক্রবারই প্রথম কোনও দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টের উপরে আলোচনা হল। যদিও তখন বিধানসভা কক্ষ ছিল বিরোধীশূন্য। সেই অবস্থায় পেশ হওয়া পরিবহণ দপ্তরের ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়ে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিধায়করা। সেই তালিকায় ছিলেন নার্গিস বেগম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, খালেক মোল্লা, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান স্বর্ণকমল সাহা। বক্তব্য রাখেন কালিম্পংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়ক সরিতা রাই।
তাঁদের বক্তব্য শেষে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেখা যায়, বিগত সরকারের আমলে কেনা বাসগুলির কতটা ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়ে রয়েছে। লজ্ঝড়ে বাসগুলি দ্রুত বদলের সিদ্ধান্ত নিই। পরিবেশ দূষণের মাত্রার বাড়বাড়ন্ত দেখে আমরা ১৫ বছরে বেশি পুরনো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিই। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্য রাজের রেজিস্ট্রেশন থাকা ১৫ বছরের বেশি গাড়ি প্রবেশ করাও নিষিদ্ধ করেছি। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যা সরকারের অন্যতম বড় কর্তব্য। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমরা ইতিমধ্যেই ৮০টি ব্যাটারিচালিত বাস চালু করেছি। শহর ও শহরতলিতে ৫৫টি চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছি। আরও ৪০টি চার্জিং স্টেশন তৈরি করার অনুমোদন পেয়েছি। পাশাপাশি, চলতি অর্থবর্ষে আরও ১৫০টি ইলেকট্রিক বাসের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেগুলি চলবে কলকাতা, রাজারহাট, নিউটাউন, আসানসোল, শিলিগুড়ি, পুরুলিয়াতে। ৩৪ আসন বিশিষ্ট এই ব্যাটারিচালিত বাসগুলি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নামবে বলে তিনি জানান।
এদিন প্রথম থেকে শুভেন্দুবাবু তাঁর দপ্তরের বিভিন্ন কাজের তথ্য তুলে ধরেন। বলেন, আগে রাজ্যে সরকারি বাস চড়তেন দেড় লক্ষ থেকে দু’লক্ষ মানুষ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ থেকে ৮ লক্ষ। কলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত চলাচলকারী সরকারি বাসের যাত্রীর এই পরিসংখ্যান দেন তিনি। তাঁর দাবি, ২০১১ সালের মার্চের পর তাঁর দপ্তরের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৯০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫০০ কোটি টাকা। ২০১৯-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে, তাঁর বক্তব্য, ২০১৮-১৯ সালে তাঁর দপ্তর সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা কম ভর্তুকি নিয়েছে। বিগত বাম আমলে পরিবহণ দপ্তর বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছ থেকে যে ১২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল, তা ২০১৮ সালে সুদ সহ সম্পূর্ণ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।