মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
সেখানে জেলাশাসক বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আরামবাগ মহকুমার অধীনে থাকা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের এই কাজ ৬০ শতাংশ পূরণ করতে হবে। এছাড়া ৭০ শতাংশ সক্রিয় জবকার্ড শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে আরামবাগ মহকুমার ছ’টি ব্লক এনআরজিএ প্রকল্পে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। গত অর্থ বছরে আরামবাগ মহকুমার অধীনস্থ ব্লকগুলি ভালো কাজ করেছিল। অথচ এই অর্থবর্ষে হাতেগোনা মাত্র ১২ সপ্তাহ বাকি রয়েছে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়, তার জন্য জেলা স্তরের প্রকল্প আধিকারিকরা কার্যত এদিন সরাসরি পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরের আধিকারিকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
অন্যদিকে, এবছর কাজের গতি শ্লথ হওয়ার কারণ হিসেবে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানরা তাঁদের সমস্যার কথা সরাসরি জেলাশাসকের কাছে তুলে ধরেন। পাশাপাশি অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ করার আর কোনও সুযোগ নেই। যে কারণে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী কাজের সঙ্গে যুক্ত করবারও দাবি ওঠে।
প্রসঙ্গত, হুগলি জেলা আরামবাগ মহকুমা কৃষিপ্রধান এলাকাগুলিতে বর্তমানে আলুর বীজ বসানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি এখনও অনেক ধানের জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ হয়নি। যে কারণে শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আরামবাগ ব্লকের অধীনে থাকা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এই তথ্য জেলাশাসকের সামনে তুলতেই, জেলাশাসক পাল্টা উদাহরণ দেন, তাহলে অন্যান্য ব্লক এবং অন্যান্য জেলায় কীভাবে চলছে ১০০ দিনের কাজ। পাশাপাশি জেলাশাসক এদিন ১০০ দিনের কাজে পিছিয়ে থাকা ব্লকের বিডিওদেরও প্রকল্পের কাজে গতি আনতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি এদিনের বৈঠক থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় জল সংরক্ষণ ও সবুজ বাঁচানোর লক্ষ্যে দ্রুত সরকারের তরফে ‘সবুজ মালা’ প্রকল্প আনা হচ্ছে। মূলত, এই প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি স্কুল, সড়ক, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ করা হবে। বর্তমানে যেভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন ও ভূগর্ভস্থ জল স্তর কমতে শুরু করেছে। তাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা হলেও পরিবেশ বাঁচানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এদিনের বৈঠক থেকেই প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে নার্সারি তৈরি করারও পরামর্শ দেন জেলাশাসক।
উল্লেখ্য, চলতি আর্থিক বছরে আরামবাগ মহকুমায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৬৬ দিন কর্ম দিবস সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে মাত্র ২লক্ষ ৩১ হাজার ৮৪৭ দিন। কাজের এই শ্লথ গতির কারণ খুঁজতেই এদিন পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন জেলাশাসক। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগের এসডিও লক্ষ্মী বি তান্নিরু সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা।