খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
যাওয়ার আগে সেখানকার পরিস্থিতি বিচার করেই মিমি লন্ডন যেতে রাজি হন। যাত্রাপথে দুবাই ও হিথরো বিমানবন্দরে সেরকম মাস্ক পড়া মানুষ তাঁর চোখেও পড়েনি বলে জানান মিমি। ‘আর তারপরেই হঠাৎ জানতে পারি যে আমাদের ১৮ মার্চের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে। ফলে সবকিছু ফেলে রেখেই তড়িঘড়ি আমরা কলকাতায় ফিরি।’ কলকাতা বিমানবন্দরে নাকি একটু হলেও করোনা স্ক্যানিংয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। তাঁর কথায়, ‘দু সেকেন্ডের জন্য খালি মনে হচ্ছিল যদি আমার টেস্ট পজিটিভ হয় তাহলে কী হবে! ঈশ্বরের কৃপায় আমার টেস্ট নেগেটিভ আসে। আসলে আমি অভিনেত্রী বা সাংসদ বলে যে ভাইরাস বহন করব না তা কিন্তু নয়!’ একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তাঁর মাধ্যমে কারও কোনও ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে তিনি সচেতন। স্ক্যানিং করার যাবতীয় সরকারি কাগজপত্রও তিনি ভিডিওতে দেখান।
লন্ডন যাওয়ার আগে তাঁর মাস্ক পড়া ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মিমি। একবার পরার পর সেই মাস্ক আর ব্যবহার করা উচিত নয় বলেই কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি সেই মাস্ক পড়েননি বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর ওয়েবসাইট থেকে মাস্ক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিও পড়ে শোনান মিমি। ‘ইচ্ছে করেই আমি তখন মাস্কটা পরিনি। কারণ আমার হাত পরিস্কার ছিল না। তাই পরিনি’ ভিডিওতে বলেছেন মিমি।
ভিডিও বার্তায় অভিনেত্রী নিজের আইসোলেশন নিয়েও মুখ খুলেছেন। ‘এখনও আমার মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই। আর ঈশ্বর না করুন সেটা যদি থাকেও, তাহলে তার থেকে আর কারও যেন ক্ষতি না হয় আমি সেটাই চাইব। বাড়ি ফিরে এখনও পর্যন্ত আমি বাবার সঙ্গে দেখা করিনি। আমরা ফোনে কথা বলেছি! আমার পোষ্যদের সঙ্গে এমনকী পরিচারকদের কাছেও যাইনি।’ ‘সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন’ পদ্ধতিকে যে যথেষ্ট তিনি মেনে চলছেন তার প্রমাণ মিমি নিজেই দিয়েছেন। অভিনেত্রী খাবার খাচ্ছেন সেল্ফ ডিসপোজেবল প্লেটে। ভিডিওর শেষে মিমির বার্তা,‘আগামী ১৪ দিন আমি বাড়িতেই থাকব। আমার জন্য সকলে প্রার্থনা করবেন।’