পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
শুধু সুগার নয়, যখন ইচ্ছে বাড়িতেই ব্লাড প্রেশার, জ্বর ইত্যাদি মেপে নেওয়ার ডিজিটাল যন্ত্রও ইদানীং বাজারে মেলে। এছাড়া হাল ফ্যাশনের ঘড়ি, মোবাইলেও রক্তচাপ, পালস, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, কতটুকু ক্যালোরি ক্ষয় সবটুকু ধরা পড়ে নিঃশব্দে। অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরে কোথায় কী কম-বেশি, কোনখানে কতটুকু খামতি, নিমেষে আপনার হাতের মুঠোয়। এ যেন পুরনো শরীরের নতুন কিসিমের সমস্যার চটজলদি রিপোর্টকার্ড। কিন্তু ডিজিটাল এই যন্ত্রগুলিতে পাওয়া রিপোর্ট আদৌ কি সঠিক?
ব্লাড প্রেশারের ক্ষেত্রে: সবচেয়ে সহজ উপায়ে ব্লাড প্রেশার মাপা যায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। তাই গৃহস্থ বাড়িতে ও বেশ কিছু ওষুধের দোকানে এই ধরনের যন্ত্র প্রেশার মাপার জন্য রাখা হয়। তবে এই যন্ত্রের মাপ সম্পূর্ণ নিখুঁত ও নির্ভুল নয়। বরং সবসময়ই কিছুটা কম-বেশি দেখায়। তাই এই যন্ত্রের ব্যবহারকে খুঁতহীন করতে ‘ক্যালিব্রেশন’ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। মাসে দু’বার বা তিনবার মার্কারি বা অ্যানালগ পদ্ধতিতে ব্লাড প্রেশার মাপার পর সঙ্গে সঙ্গেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে তা ফের মাপুন। এবার দেখে নিন কতটা ফারাক হচ্ছে। যদি দেখা যায় মার্কারি বা অ্যানালগের চেয়ে ডিজিটাল যন্ত্রটির পরিমাপ ৫ বা ১০ বেশি অথবা কম হচ্ছে, তাহলে প্রতিবার ব্লাড প্রেশার মাপার সময় এই হিসেব মাথায় রেখেই তা মাপতে হবে। যদি দেখা যায়, পরিমাপে অনেকটা তফাত রয়েছে এবং প্রতিবারই ডিজিটালের পাঠ মার্কারি বা অ্যানালগের চেয়ে বেশ অনেকটা বেশি বা কম দেখাচ্ছে, তাহলে সেই ডিজিটাল যন্ত্রটিকে খুব একটা ভরসা করা যায় না। সেটি বাতিল করাই শ্রেয়।
জ্বরের ক্ষেত্রে: এক্ষেত্রে জ্বর এলে প্রথমে কোনও মার্কারি থার্মোমিটারে জ্বর মেপে তারপর সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে মাপতে হবে। কতটা বেশি-কম হচ্ছে সেই হিসেব নিন। ধরা যাক, মার্কারিতে কারও জ্বর ধরা পড়ল ১০২ অথচ ডিজিটালে মাপ এল ১০১। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ওই নির্দিষ্ট ডিজিটাল থার্মোমিটারটির পাঠ ১ কম আসে।
ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রে: বাড়িতে মূলত ডিজিটাল গ্লুকোমিটার দিয়ে ব্লাড সুগার মাপা হয়। এখানে যেহেতু এনজাইমেটিক পদ্ধতিতে মাপা হয় না, তাই মাপার অঙ্ক নিখুঁত হয় না। এক্ষেত্রেও বেশি বা কম মাপ আসে। ক্যালিব্রেশন পদ্ধতি অবলম্বন করলে নিখুঁত পরিমাপ মেলে। ফাস্টিং ও পিপি পরিমাপের জন্য যে সময়ে পরীক্ষাগারে রক্ত দিলেন, তারপরেই ডিজিটাল গ্লুকোমিটারেও একটি পরীক্ষা করে রাখুন। মাপটি লিখে রাখুন কোথাও। ল্যাবের রিপোর্ট এলে মিলিয়ে দেখে নেবেন কত কম বা বেশি থাকছে।
লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়
তথ্য: ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী